এলজিইডির কেরানী বিষফোঁড়া ‘চীপ বাবু’
চীফ ইঞ্জিনিয়ার-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গাচ্ছে-
লাবণ্য চৌধুরী : এলজিইডির কথিত ‘বিকল্প চীপ বাবু’ নামের এক কেরানীর অবৈধ দাপট দুর্নীতি ও অরাজকতায় এলজিইডির প্রকৌশলী কর্মকর্তারা অতিষ্ট। শুধু তাই নয় সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে ফায়দা লুটছে। সে বলে বেড়াচ্ছে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরও তার নখদর্পনে।
ওই দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করার ক্ষমতা নেই বলে সে জানায়। বাবু দম্ভোক্তি করে বলে বেড়ায় মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নাকি তার ডান হাত। বাবুর কথার বাহিরে নাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এক পাওয়ো সামনে এগোয়না। তিনি বলে বেড়ান ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবু না থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পাশ করার কোন সম্ভাবনাই ছিলোনা।
বাবু বলে বেড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) চীপের (প্রধান প্রকৌশলী) বিকল্প চীফ সে। তার পুরো নাম- শহিদুল ইসলাম (বাবু), পদবী – অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, গ্রামের বাড়ী- শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায়, শ্রেণী-তৃতীয়, গ্রেড-১৬, বেতন পায় সাকুল্যে ২৬২৭৬ টাকা।
কথিত ‘চীফ বাবু’ এই দম্ভোক্তি কেন তা নিয়ে সরগরম আলোচনা সমালোচনা এলজিইডিতে। অবৈধ ধান্ধা তদবিরে এই বাবু আঙ্গুল ফুলে বটগাছে পরিণত হতে চলেছে। প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বাবু হাকান দামী গাড়ী, আছে কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, নামে বেনামে জায়গা জমিসহ অনেক কিছুর মালিক এখন চীফ বাবু। বাবু’র চাল চলন অবৈধ কর্মকান্ডে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী’র বদনাম হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুনামের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
বাবু বলে বেড়ায় প্রধান প্রকৌশলীসহ দপ্তরটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের তার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করার ক্ষমতা নেই বলে জানা যায়। সে বলে কেনইবা যাবে, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নাকি তার ডান হাত। বাবুর কথার বাহিরে নাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এক পাওয়ো সামনে এগোয়না। তিনি বলে বেড়ান ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবু না থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পাশ করার কোন সম্ভাবনাই ছিলোনা।
চীপ বাবু আপনারা ছবি দেখে বোঝেন না তার সাথে আমার কি সম্পর্ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিজ সার্থ হাসিলের জন্য সে অনেকের গায়ে হাতও তুলেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে টুঁশব্দ করার সাহস পায়না কেউ।
বাবু চাকরি করে নামে মাত্র, কিন্তু তার মুল কাজ হলো বদলি, টেন্ডার বানিজ্য। জানা যায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা পরিচয় দিয়ে বিএনপি জামায়ত ঘেষা এই কর্মচারী বছরের পর বছর আরসিসি ভবন (এলজিইডি) তে অফিসারদের মত এলজিইডির গুরুত্ব বিষয় সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছে।
সামান্য একজন কর্মচারী যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নিয়োগ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এলজিইডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারতারা তার কথা না শুনলে সে কথিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা পরিচয় দিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে অফিসারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে দুরব্যবহারের মাধ্যমে জোরপূর্বক বিভিন্ন ধরনের কাজের ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
নিয়োগ বদলী বাণিজ্য ঠিকাদারী কাজের অনৈতিক সুবিধা নিতে সে অফিসারদের বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। বিভিন্ন কর্মচারীদের মামলা পরিচালনা ও চাকুরী স্থায়ী করার জন্য সে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
আর এসব অনৈতিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছবি তার ছবির সাথে অফিস কক্ষে টাঙিয়ে বীরদর্পে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে যাচ্ছে সে। একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে সরকারি আচরণ বিধি লংঘন করে তার উপরের বড় বড় কর্মকর্তাদের ভাই সম্মোধন করেও কথা বলতে দেখা গেছে। এলজিইডিতে বৈধ কোন ট্রেড ইউনিয়ন না থাকলেও বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু এলজিইডির মত স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানকে নানা প্রশ্নের সম্মুখিন করছে।
তার মত একজন কর্মচারীর আচরনে পুরো এলজিইডি ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন বাবুর মত সন্ত্রাসী লোকের সরকারী চাকুরী করার যোগ্যতা অনেক আগে হারিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছে না তা রহস্য জনক।এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করে এবং এসএমএস পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।