জাতীয়

মায়ের জন্যে জোড়া খুন

 

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে স্ত্রী সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করে সোমবার বিকেলে জবানবন্দি দিয়েছে আজিজুল হক। বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিনের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে বলেছে, মায়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার জের থেকে স্ত্রীর প্রতি আক্রোশ তৈরি হয়। সেই আক্রোশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানকেও খুন করে। এদিকে ছেলে রাফিকে হত্যার পর তার মাথা কেটে করতোয়া নদীতে ফেলে দেওয়া হলেও তা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত আশামণির বাবা আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে আজিজুল হক ও তার বাবা হামিদুল ইসলামকে। পুলিশ হামিদুলকেও গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে তুলেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাসান হাফিজার বলেন, আজিজুলকে বিকেল ৫টায় আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।এদিকে রাজশাহী থেকে আসা ছয় সদস্যের ডুবুরি দল রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত করতোয়া নদীতে চেষ্টা করেও শিশু রাফির খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করতে পারেনি। বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুলকে সঙ্গে নিয়ে করতোয়ার তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে অভিযান সফল হয়নি।

আজিজুল পুলিশের কাছে আটকের পর বলেছিল, স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পারায় খুন করেছে। আদালতে মায়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেছে বলে স্বীকার করে।শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুল দোষ স্বীকার করায় আর রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে না।এর আগে গত রোববার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে আশামণি ও রাফির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button