স্পোর্টস রিপোর্টার : একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস। কিছু কথা লেখা। সেই কথাগুলো একজনের পাওয়া ব্যথায় নিজেও ব্যথিত হওয়ার। গোছানো শব্দ ও বাক্যে লেখাটা শেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় একটা ভেঙে যাওয়া হৃদয়ের ইমোজি দিয়েছেন। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন হৃদয়। ২০ বলের ইনিংসটিতে মেরেছেন ১টি চার ও ৪টি ছয়। দলের ও নিজের এমন ভালো দিনে হৃদয়ের হৃদয় ভাঙল কেন?
হৃদয়ের হৃদয় ভাঙার রহস্য লুকিয়ে তাঁর মারা ৪টি ছয়ের একটিতে। হৃদয় যে ৪টি ছয় মেরেছেন, তার একটি গ্যালারিতে গিয়ে লেগেছিল এক বাংলাদেশি সমর্থকের পায়ে। অল্প কেটেও গেছে সেই সমর্থকের পা, খানিক রক্তও হয়তো ঝরেছে। সন্দেহ নেই যে ওই সমর্থক বেশ যন্ত্রণা টের পেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের এমন এক জয়ের দিনে অতটুকু কষ্ট বা ব্যথা আর কী! ম্যাচ শেষে কোনো এক সংবাদমাধ্যমে সেই সমর্থক বলেছেন, তিনি খুশি। তাঁর কোনো কষ্ট হয়নি।
ওই সমর্থকের হাসিমাখা মুখের ছবি হৃদয়ের কাছে পৌঁছেছে। সেটা দেখে নিজের ফেসবুক পেজে হৃদয় প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান লিখেছেন, ছবিগুলো একজন পাঠাল, আমার এখানে এখন মধ্যরাত। কয়েকটি ছবি মাথা থেকেই বের হচ্ছে না। আমার জন্য কারও রক্ত ঝরল, এটা ভেবেই খারাপ লাগছে।
এরপর হৃদয় লিখেছেন, ‘প্রিয় ভাই আমার, আমি জানি না, আপনি কে? শুধু জানি, আপনার পরিহিত টি–শার্টের বুকে বাংলাদেশের মানচিত্র। আপনি এবং আমি একই। আমার মারা ছয় অজান্তেই গিয়ে আপনার পায়ে লেগেছে। আপনি হয়তো হাসিমুখেই বলছেন—আপনি খুশি, কিন্তু একটি সজোরে আসা বলের আঘাত কতটা ভোগায়, তা আমাদের থেকে ভালো আর কেইবা জানে। হৃদয় তাঁর স্ট্যাটাস শেষ করেছেন এভাবে, ‘কখনো দেখা হলে আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েন, মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েন। আপনার কষ্টে আপনার এই ছোট ভাইও ব্যথিত।