অপরাধ

আরসার কিলিং কমান্ডার ধরা

 

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি : এবার কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা’র জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার হাফেজ কামাল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

আটককৃতরা হলেন, উখিয়া উপজেলার মধুরছড়া ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা নজির আহম্মদের ছেলে হাফেজ কামাল (৩৫), একই ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে আনসার উল্লাহ (২০) এবং ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮-ব্লকের বাসিন্দা বলী আমিনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২১)।র‌্যাব জানিয়েছে, আটক তিনজনই মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে হাফেজ কামাল আরসা’র ক্যাম্প ভিত্তিক জোন কমান্ডারের পাশাপাশি কিলিংগ্রুপের কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠন অপতৎপরতা শুরু করেছে। এতে কয়েকটি খুনের ঘটনার পাশাপাশি ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পরস্পর সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও গোয়েন্দা নজরদারিসহ তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত সাড়ে ৩টায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন মরাগাছতলা এলাকায় আরসা কমান্ডার হাফেজ কামালের সহযোগী মোহাম্মদ সাইফুলের অবস্থানের খবর পায় র‌্যাব। পরে র‌্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তীতে আটক সাইফুল জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে তথ্য দেয় আরসা’র কিলিংগ্রুপ কমান্ডার হাফেজ কামাল কয়েকজন সহযোগীসহ মধুরছড়া ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৬ টায় র‌্যাবের আরেকটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন সন্দেহজনক লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে হাফেজ কামালসহ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি একটি জি-৩ রাইফেল, দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক ও ৭ টি গুলি পাওয়া যায়।

সাজ্জাদ হোসেন জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসা’র সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। তারা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারে খুন ও অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত।আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button