স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের বিরুদ্ধে আগামী ১০ নভেম্বর শিক্ষকের বেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সমাবেশের পাঁয়তারা চালাচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায়। বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আওয়ামী শিক্ষক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ফেসিস্টরা এই সমাবেশের পরিকল্পনায় কাজ করছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উত্তরাঞ্চল থেকে শিক্ষকদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। অনেকে ইতিমধ্যে ঢাকায় এসে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় অবস্থান নিয়েছে। চক্রটি সচিবালয় ঘেরাওসহ সরকারবিরোধী নানা পরিকল্পনা আঁটছে বলে বিএনপিপন্থী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ সমিতির নেতারা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে, বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আওয়ামী শিক্ষক লীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ফেসিস্টরা লোকসমাগম বাড়ানোর সার্বিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। চক্রটি রবিবার ১০ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও মহাসমাবেশ করারও পরিকল্পনা নিয়েছে বলে বিএনপিপন্থী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ সমিতির নেতারা জানিয়েছেন।
নেতাদের মতে, অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী শিক্ষক লীগ নামে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি শেখ হাসিনার ‘টুপ করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া’র অসৎ পরিকল্পনার ছক তৈরীর জন্যে অরাজকতা সৃষ্টি করতে এ সমাবেশ ডেকেছে। এই সমাবেশ থেকে সচিবালয় ঘেরাওসহ সরকারবিরোধী একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নামে আওয়ামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শিক্ষক লীগের ফেসিস্টরা।
জানা গেছে, ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এরা বিভিন্ন সময়ে নানারুপে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে বিভিন্ন প্রকার চক্রান্ত্রের ছক আঁকছেন। এর অংশ হিসেবে আগামী ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আওয়ামী শিক্ষক লীগ মাঠে নামবে। ইতিমধ্যে এরা সারাদেশের শিক্ষকদের জড়ো করতে সকল তৎপরতা বাস্তবায়ন করেছেন। অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যে ঢাকায় এসে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহা-সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। জানা যায় বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নামে অঙ্গ সংগঠনটির বর্তমান কমিটির কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ আওয়ামীলীগের নিষিদ্ধ অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুব লীগের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পদে সক্রিয়ভাবে দায়িত্বে ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পুর্নবাসিত করার জন্য আওয়ামীলীগের ঊর্ধ্বতণ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
এরা শিক্ষক নামধারী হয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ নিয়ে অন্তবর্তী সরকারকে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছে। এদের নেতৃত্বে আছেন মামুনুর রশিদ খোকন, ফিরোজ উদ্দিন, রায়হান, নাসির উদ্দিন, তামান্না, মাহবুব, জুয়েল মন্ডল, আতিকুর রহমান আতিক, নিজামুদ্দিনসহ আরো অনেকে।
অঙ্গ সংগঠনটির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন সাধারন সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন সারাদেশে আওয়ামী লীগ পরিচয় বহন করে বিভিন্ন সময় সাধারন শিক্ষকদের নিকট হইতে মোটা অংকের টাকা আদায় করেও আত্নসাত করেন এবং সে টাকা দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অবৈধ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন।
আসছে ১০ নভেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রেষ্ট- হাউজ সহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকনামধারী ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবস্থান করছেন বলেও বিএনপিপন্থী বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা জানিয়েছেন।