রংপুর থেকে লাবণ্য চৌধুরী : এবার রংপুর থেকেই বৈষম্য বিরোধীতার ডাক উঠল। বলা হচ্ছে রংপুর থেকে দুইজন উপদেষ্টা দিতে হবে। রংপুরসহ উত্তরের সব জেলা বৈষম্যের শিকার হয়েছে উপদেষ্টা নিয়োগে। ‘লাশ চাই উত্তরের, সব শাসক হবে দক্ষিণের?’ এটা চলতে দেয়া হবে না। এমন প্রশ্ন রেখে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ স্বরূপ ফেসবুকের প্রোফাইলের রং লাল করেছেন অনেকে।
উত্তরবঙ্গ থেকে কমপক্ষে ৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ না দিলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা নিয়োগে বৈষম্যের প্রতিবাদে সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি রংপুরকে দেশের এক নম্বর জেলা হিসেবে পরিণত করতে দ্রুত উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। ছাত্রজনতা-নিজেদের বাছাই উপদেষ্টাদের মধ্যে দুজনের নামও প্রকাশ করেছে। এদের একজন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় বিশিষ্ট আইনজীবী জোবাইদুল ইসলাম বুলেট কে উপদেষ্টা মন্ডলীতে যুক্ত করার আহ্বানও জানান তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, ইমতিয়াজ ইমতি, রাজিমুজ্জামান হৃদয়, নাহিদ খন্দকার, আলমগীর নয়নসহ অন্যরা।বক্তারা বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশে সর্বপ্রথম প্রাণ দিয়েছে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার আত্মত্যাগে দেশের ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছিল। পতন হয়েছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের। প্রধান উপদেষ্টা রংপুর সফরে এসে বলেছেন রংপুর হবে এক নম্বর জেলা। অথচ উপদেষ্টা নিয়োগে উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো উপদেষ্টা রাখা হয়নি। ফলে বিগত দিনের মত বর্তমানেও উত্তরবঙ্গ বৈষম্যের শিকার। এখানকার মানুষের সমস্যাগুলো তুলে ধরে কাজ করার মত মানুষ নেই উপদেষ্টা পরিষদে।
অবিলম্বে রংপুরসহ উত্তরবঙ্গ থেকে কমপক্ষে ৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন তারা। সেই সঙ্গে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় বিশিষ্ট আইনজীবী জোবাইদুল ইসলাম বুলেট কে উপদেষ্টা মন্ডলীতে যুক্ত করার আহ্বানও জানান তারা। এদিকে রবিবার নতুন করে ৩ জন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের পর থেকে ফুঁসে উঠেছে রংপুরবাসী। রংপুর থেকে কোনো উপদেষ্টা না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ‘লাশ চাই উত্তরের, সব শাসক হবে দক্ষিণের?’ এমন প্রশ্ন রেখে প্রতিবাদ স্বরূপ ফেসবুকের প্রোফাইলের রং লাল করেছেন অনেকে।