অপরাধ

নূর-তানভীরকে কিল-ঘুষি থেরাপি-দেখেই ক্ষিপ্ত আহত শিক্ষার্থীরা

 

লাবণ্য চৌধুরী : ফেসিস্ট নূর-তানভীরকে দেখেই ক্ষিপ্ত আহত শিক্ষার্থীরা। অতঃপর থেরাপি নিতে আসা নূর-তানভীরকে উল্টো কিল ঘুষি’র থেরাপি দিল শিক্ষার্থীরা। চিকিৎসা নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এসেছিলেন ওরা। ওই সময় শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে পড়ে যান সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম।

শিক্ষার্থীদের আর তর সয়নি। মূহুর্তে মারধর করে অপমান অপদস্ত করতে থাকলে একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা এসে শিক্ষর্থীদের নিবৃত্ত করে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আসাদুজ্জামান নূর এবং তানভীর ইমাম থেরাপি নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, ফেসিস্ট নূর-তানভীরকে দেখেই ক্ষিপ্ত আহত শিক্ষার্থীরা। মুহূর্তেই কয়েকজন শিক্ষার্থী গিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ছাত্র হত্যাকারী’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।

প্রক্টর জানান, দুপুরের দিকে আসাদুজ্জামান নূর এবং এইচ টি ইমামের ছেলে থেরাপি নেওয়ার জন্য গেলে সেখানে থেরাপি নিতে আসা কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী তাদের দেখে চিনে ফেলেন। এসময় শুনেছি শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে পুলিশ ও কর্তব্যরত চিকিৎসক-কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, হঠাৎ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হই-হুল্লোড় শুনে গিয়ে দেখি একজনকে কিল-ঘুষি মারা হচ্ছে। তারা ছাত্র হত্যাকারী এবং শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করছিল। পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে তানভীর ইমামকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button