আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কঠিন-সক্ষমতা বাড়াতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি:কিরবি

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবারই ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশিকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে এই কাজে সহায়তা করতে চাই।

 

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের আইন প্রয়োগকারী এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সক্ষমতা বাড়াতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

এমনটাই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির দিকে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে বেশ কয়েকটি হিন্দু আমেরিকান দল প্রতিবাদ মিছিল করছে। এই সপ্তাহান্তে হোয়াইট হাউসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। তারা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং মন্দিরের ওপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) কি এ বিষয়ে অবগত? জাতিসংঘে তার বন্ধু এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করার সময় তিনি কি এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন?

জবাবে জন কিরবি বলেন, আমরা এটি খুব, খুব, খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখছি এবং প্রেসিডেন্টও ঘনিষ্ঠভাবে ঘটনাগুলোর দিকে নজর রাখছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের আইন প্রয়োগকারী এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সক্ষমতা বাড়াতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সকল বাংলাদেশি নেতার সাথে যোগাযোগের সময়ও এ বিষয়ে খুব স্পষ্ট ছিলাম যে— ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবারই ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশিকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে এই কাজে সহায়তা করতে চাই।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button