‘আয়নাঘরে টাইমবোমা পাঁতানো হয়েছিল’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা তিনটি আয়নাঘর খুঁজে পেয়েছেন ও তদন্ত করেছেন।তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গুমের মামলাগুলো তদন্ত করছে। টিএফআই সেলের নাম উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেটার ভেতরে ভূগর্ভস্থ অনেকটা বলা যাবে, সেমি ভূগর্ভস্থ সেলগুলো আবিষ্কার করেছে। যেগুলো ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে।
কোর্ট রিপোর্টার : আয়নাঘরে যাঁরা তদন্ত করতে গেছেন, তাঁদের বোমা রেখে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা তিনটি আয়নাঘর খুঁজে পেয়েছেন ও তদন্ত করেছেন।
রোববার ৬ এপ্রিল দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর। আয়নাঘরে তদন্তকাজের সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গুমের মামলাগুলো তদন্ত করছে। টিএফআই সেলের নাম উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেটার ভেতরে ভূগর্ভস্থ অনেকটা বলা যাবে, সেমি ভূগর্ভস্থ সেলগুলো আবিষ্কার করেছে। যেগুলো ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। সেই ওয়াল ভাঙতে হয়েছে। পুরো গার্বেজ দিয়ে সেটাকে ভরে রাখা হয়েছে। সেগুলো সরিয়ে ক্রাইম সিনগুলো বের করতে হয়েছে।
আপনারা জানেন, এই কাজ করতে গিয়ে স্বয়ং চিফ প্রসিকিউটর তিনি এই ইনভেস্টিগেশন চলাকালে প্রেজেন্ট ছিলেন। আমরা যখন না বুঝে…, সেখানে বোমা ফিট করা ছিল। সেই বোমাগুলোর সঙ্গে টাইমার সেট করা ছিল। আমাদের অ্যাপারেন্টলি বোঝা যায় যে এই ইনভেস্টিগেশন করতে যারা গিয়েছে, তাদের হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছে।’
পরে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আর মন্তব্য করছি না। সময় হলে জানতে পারবেন।’এত সব জটিলতার মধ্য দিয়ে যে কাজগুলো এগিয়েছে, সেগুলো প্রতিদিন জনসমক্ষে আসেনি উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে কারণে অনেকে মনে করতে পারেন যে তদন্তকাজ কিছু হয়নি।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত সময়সাপেক্ষ বিষয় উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনাল যখন আগের রেজিমের সময় ছিল, তখন প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১৬ মাস সময় নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ মাসের মধ্যে অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ হয়তো দাখিল করা সম্ভব হবে।’