করিডর নিয়ে মুখ খুললেন খলিলুর

রাখাইনের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড আরাকান আর্মির দখলে থাকায় জান্তা সরকারের সমান্তরালে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। আরাকান আর্মিও প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর উদ্যোগ নেয়া হবে। এসময় তিনি জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি : করিডর নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারো কোনো কথা হয়নি। কারো সঙ্গে কোনো কথা হবেও না।বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এদিন রাখাইন অঞ্চলকেন্দ্রিক মানবিক করিডোর ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মানবিক চ্যানেল আমরা দেবো কী দেবো না এটা আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। মানবিক চ্যানেল নিয়ে আমেরিকা বা চীন কারও থেকেই বাংলাদেশের ওপর কোনো চাপ নাই। মানবিক চ্যানেল তৈরি হলে তার পুরো দায়বদ্ধতা থাকবে জাতিসংঘের ওপর। বাংলাদেশ শুধু বর্ডারে নিরাপত্তা দেবে।
খলিলুর রহমান বলেন, করিডর ব্যবস্থাটি বুঝতে হবে। করিডর হচ্ছে একটা জরুরি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না।
তিনি বলেন, রাখাইনের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড আরাকান আর্মির দখলে থাকায় জান্তা সরকারের সমান্তরালে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। আরাকান আর্মিও প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর উদ্যোগ নেয়া হবে। এসময় তিনি জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা আরাকান আর্মিকে সরাসরি বলে দিয়েছি কোনো রকম এথনিক ক্লিনজিং আমরা মেনে নেবো না। আরাকানের অবস্থা যত দিন অস্থিতিশীল থাকবে, ততদিন পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের আলোচনা সম্ভব হবে না।দ্বৈত নাগকরিত্বের অভিযোগের বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ছাড়া আমার আর অন্য কোনো নাগরিকত্ব নাই। আমি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি। তবে আমার সেখানকার পাসপোর্ট নাই।তিনি বলেন, বিদেশে থাকলেই যদি নাগরিকত্ব হয়ে যায়, তাহলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও সে কথা বলা যায়। তাই এ ধরনের কথা না বলাই ভালো।
অথচ এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন-
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মানবিক করিডোর তৈরি করতে চায় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে নীতিগতভাবে সম্মত আছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানিয়েছিলেন।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত। এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে। আমি এর বিস্তারিতে যাচ্ছি না। যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করবো।