আগে স্থানীয় ভোট পরে এপ্রিলের মধ্যে এমপি ইলেকশন চায় জামায়াত

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে জনগণের কষ্ট কমবে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রমাণ হবে। কিছু জিনিস না হলে তো কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করা যায় না।
বিশেষ প্রতিনিধি : জামায়াতে ইসলামী ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় । একই সঙ্গে বরাবরের মতো সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন অবস্থানের কথা তুলে ধরেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। উচ্চ আদালতের রায়ে দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নির্বাচনের পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কার নিয়েও কথা বলেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে জনগণের কষ্ট কমবে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রমাণ হবে। কিছু জিনিস না হলে তো কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করা যায় না। মাত্র পাঁচটা বেসিক সংস্কার নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। ৪১টা পয়েন্টে আমাদের সুপারিশ আছে। কিন্তু এই ৫টার আমরা বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা বলেছিলাম, যারা অপরাধী, তাদের বিচারটা যেন দৃশ্যমান হয়। এ বিচার দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে, এখানে আমরা একটু আশাবাদী। জুলাই সনদের একটা ব্যাপার অপেক্ষমাণ, চার্টারের পাশাপাশি ঘোষণা দেওয়া, যেটাতে এখনও কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন।
শফিকুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে টাইমলাইন দিয়েছেন- ডিসেম্বর টু জুন। এর মধ্যে তিনি নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমাদের মতটা ইতোমধ্যে ব্যক্ত করেছি৷ এটা ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে হতে পারে রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি না হয়, তাহলে কোনো অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যায়। এটা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত কোনো সময় হবে না। আমরা এভাবেই আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা বেঁধে দেওয়ার অধিকার রাখি না। আমরা যদি নির্দিষ্ট করে বলে দেই, তাহলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর্যায়ে পড়ে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি, দাবি জানাতে পারি, আমরা সেটি জানিয়েছি।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সমতল মাঠ তৈরি হলে যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুত বলে জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে নারাজ। প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোন কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।
ফ্যাসিজম নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাঁধে রয়ে গেছে।