
ধরা খাচ্ছে পদ্মাসেতু পরামর্শক দুর্নীতি- হাসিনা চুপ্পু গং। দেশে-বিদেশে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর পরামর্শক দুর্নীতিতে এবার ধরা খাচ্ছে ‘দুদকের সেই চুপ্পু’। নতুন করে করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব।
বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে ধরা খাচ্ছে পদ্মাসেতু পরামর্শক দুর্নীতি- হাসিনা চুপ্পু গং। দেশে-বিদেশে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর পরামর্শক দুর্নীতিতে এবার ধরা খাচ্ছে ‘দুদকের সেই চুপ্পু’। নতুন করে করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব। তবে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গেল জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
এসময় তিনি বলেন, গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দাবি, বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য মিলেছে।এই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানান চেয়ারম্যান।আব্দুল মোমেন বলেন, নতুন তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা মিললে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর মামলাটি আবারও বিবেচনায় আনা হয়। আমাদের মনে হয়েছে, অনেকটা গায়ের জোরে মামলাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা এটি পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নতুন করে তদন্ত শুরু করেছি।
জানা গেছে, ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির আশঙ্কায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে। এরপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়।মামলায় আসামিরা হলেন- তৎকালীন সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালটেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক ও এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ এবং কেভিন ওয়ালেস।
দুদক জানায়, পদ্মা সেতু পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে করা মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘ একযুগ পর; গত জানুয়ারি মাসে সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি।জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক।তবে ২০১৪ সালে অদৃশ্য কারণে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন। পটপরিবর্তনের পর ফের অনুসন্ধানে মিলতে শুরু করেছে নানা তথ্য-উপাত্ত। ইতোমধ্যে তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টদের নথিপত্র এখন দুদকের কব্জায়।