অবশেষে সিংহ বধ করলো টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে সিংহ বধ করলো টাইগাররা। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ হলেও শেষটায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার দ্যুতি ছড়ানোর দিনে প্রথমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।কলম্বোতে বুধবার (১৬ জুলাই) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল লাল সবুজরা। ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে লিটন বাহিনী।
২৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এদিন সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ তামিম। ২৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। লঙ্কানদের পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নেন নুয়ান থুশারা ও কামিন্দু মেন্ডিস।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ৮৩ রানের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় প্রথম দুই ম্যাচ শেষ হওয়ায়, তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে।দুদলের মধ্যে এর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া পাঁচ সিরিজের সবগুলো জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। কলম্বোতে এদিন সহজ লক্ষ্য পাওয়ায় সে ডেডলক ভাঙার সুযোগ তৈরি হয় টাইগারদের সামনে।
যদিও ১৩৩ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংস শুরুর প্রথম বলেই পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারিয়ে শঙ্কা জাগায় বাংলাদেশ। সহজ অনেক ম্যাচও যে বাজেভাবে হারার রেকর্ড আছে লাল সবুজদের। তবে দলকে চাপে পড়তে দেননি আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম ও অধিনায়ক লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজের আধিপত্য নিয়ে তারা দলকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন। ইনিংসের নবম ওভারে গিয়ে ভাঙে তাদের ৭৪ রানের জুটি। ২৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রানে লিটন আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম। প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৬ ও ৫ রান করা এ ওপেনার, এদিন মাত্র ২৭ বলে ৫টি ছয় ও একটি চারের মারে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ৬৭ রান ছিল তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ।
এর আগে শেখ মেহেদী হাসানের বোলিং নৈপুণ্য সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খুব বেশি পুঁজি পায়নি শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে তারা। ৩৯ বল মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা। এছাড়া দাসুন শানাকা ২৫ বলে ৩৫ আর কামিন্দু মেন্ডিস ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান খরচায় ১ মেডেন দিয়ে ৪ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।