ছাত্ররা দুর্নীতি করছে কিছু উপদেষ্টা অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত:হাফিজ

বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক দল সংস্কারের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, আর কিছু উপদেষ্টা আরাম-আয়েশে থেকে অর্থ উপার্জনের পেছনে ব্যস্ত। ছাত্ররা অনেক সংগ্রাম করলেও দুর্নীতির কাছে দ্রুত আত্মসমর্পণ করেছে:মেজর (অব.) হাফিজ
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন দিতে চান। কিন্তু কিছু উপদেষ্টা ও ছাত্র তাকে ভুলভাবে প্রভাবিত করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করছে।রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা ভাবছে এখনো কমিটি গঠন হয়নি, নিবন্ধন হয়নি — তাহলে তারা কীভাবে ক্ষমতায় যাবে? বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, ফেব্রুয়ারি হোক বা যেকোনো দিনেই নির্বাচন হোক।”গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গে মেজর হাফিজ বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য শহীদ আবু সাঈদ জীবন দিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে সেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে — এটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক দল সংস্কারের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, আর কিছু উপদেষ্টা আরাম-আয়েশে থেকে অর্থ উপার্জনের পেছনে ব্যস্ত।
তিনি ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গে বলেন, “ছাত্ররা অনেক সংগ্রাম করলেও দুর্নীতির কাছে দ্রুত আত্মসমর্পণ করেছে। তারা আমাদের নাতির বয়সী। আমরা চাই তারা গড়ে উঠুক, পরিপক্ব হোক এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিক। তবে এখনই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা অনুচিত। এনসিপির সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই, তারা আমাদের ছোট।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশে একদলীয় শাসন চালু হয়েছিল, আর তার কন্যা শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র হত্যা করছেন। সংসদে শেখ পরিবারেরই ৩৪ সদস্য রয়েছেন। দেশের টাকা লুটপাট করে তারা বিদেশে পাহাড় গড়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির কোনো আপস হবে না। তারা ১৭ বছর ধরে বিএনপির ওপর অন্যায়-অত্যাচার চালিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর বিচার হবে।
তিনি আরও বলেন, দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম কুদ্দুসুর রহমান। উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের রহমত উল্যাহ।