রাজনীতি

বৈষম্য রিয়াদের সোয়া ২ কোটি চেক চাঁদাবাজি

 

 

বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ নেতা রিয়াদের বাড়িতে সোয়া দুই কোটি টাকার চাঁদার চেক মেলায় তোলপাড় চলছে রাজধানীতে।

বিশেষ প্রতিনিধি : মাষ্টারি বাদ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ নেতা রিয়াদের বাড়িতে সোয়া দুই কোটি টাকার চাঁদার চেক মেলায় তোলপাড় চলছে রাজধানীতে। কলাবাগান থানা পুলিশ জানায়, রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের হেফাজতে থাকা ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে ।এ ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় নতুন করে একটি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের একজন রিয়াদের বাসা থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে রিয়াদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় ২০ লাখ টাকা এফডিআরের নথিও উদ্ধার করে পুলিশ।এর আগে ২৬ জুলাই রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদার টাকা আনতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ পাঁচজন।

ওই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের করা মামলায় রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন– কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও শিশু আমিনুল ইসলাম।এদের মধ্যে কাজী গৌরব অপু অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজন পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।

এদিকে, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button