জাতীয়

‘না-ভোট সব আসনে চাই’

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি : এবার ‘না ভোট ‘ সব আসনেই রাখা দরকার বলে দাবি করেছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন বিশেষ কোনো আসনে ‘না ভোট’ রাখা হলে অন্য আসনের ভোটাররা বঞ্চিত হবেন প্রকৃত ‘প্রার্থীকে’ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। কারণ দেখা যাবে যে প্রার্থীর ‘সরগরম’ বেশী তিনি কোনো না কোনো ভাবে আগে ভোটারদের বঞ্চিত করেছিলেন। এমনও হতে পারে প্রচার বেশী ‘এমন প্রার্থী’ নানা কৌশলে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। ভোটে জিতলে তিনি নিজের উপকার ছাড়া অন্য কারো ভালো সেভাবে চাইবেন না। কারণ তিনি দলীভাবে প্রভাবশালী। কাজেই ওই আসনে প্রকৃত ভোটের ক্ষেত্রে ‘না ভোট’ দরকার আছে।

এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শফিকুর রহমান দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, নির্বাচন হতে হবে ভোটারদের পক্ষে। ভোটারদের কোনো প্রার্থী পছন্দ না হতে পারে-সেক্ষেত্রে সব আসনে না ভোট দরকার। বিশেষ কোনো আসনে ‘না ভোট’ রাখা হলে অন্য আসনের ভোটাররা বঞ্চিত হবেন প্রকৃত ‘প্রার্থীকে’ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। কাজেই ‘না ভোট ‘ সব আসনেই রাখা দরকার বলে দাবি করেছেন তিনি।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, না-ভোট রাখা উচিত, নইলে ভোটাররা বঞ্চিত হবেন বলে মনে করেন । আরেক বিশেষজ্ঞ মুনিরা খান বলছেন, একটি কেন্দ্রে কতটা অনিয়মে পুরো আসনের ভোট বাতিল হবে, তা ঠিক করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

গত সোমবার গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন। যেখানে একক প্রার্থীর আসনে না-ভোট ফেরানোর কথা বলা হয়।না-ভোট ফেরানোকে ইতিবাচক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে এটাও বলছেন, শুধু এক প্রার্থীর আসন নয়, সব জায়গায়ই না-ভোট থাকা উচিত। নইলে ভোটারদের বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা থেকে যাবে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমার হয়তো এই ৫ প্রার্থীর কাউকেই পছন্দ না, তখন আমার তো অধিকার আছে না-ভোট দেওয়ার। কাজেই আমাকে তো এর থেকে নির্বাচন কমিশন বঞ্চিত করতে পারে না। এটা সবগুলো আসনের জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত। মুনিরা খান বলেন, ‘তখন রাজনৈতিক দলগুলো সচেতন থাকবে এবং তারা ভালো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। আমি মনে করি এই না-ভোটটা থাকা ভালো।’আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে সশস্ত্র বাহিনীকেও বোঝানোর বিধান যথাযথ হয়েছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বলেন, এতে ভোটারদের আস্থা বাড়বে।

আব্দুল আলীম বলেন, ‘যদি বিশ্বাসের কথা বলা হয়, আমার মনে হয় সেনাবাহিনী এক নম্বরে থাকবে। এটা নিয়ে নানা সার্ভে আছে, আমি যতটুকু জানি। তাদের উপস্থিতি একটা বিশাল গুরুত্ব বহন করে। মানুষের মধ্যে এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়াবে।’

মুনিরা খান বলেন, ‘নিজের পছন্দ মতো যখন যেখানে দরকার তাদের কাজে লাগালাম। এটা আমি মনে করি বর্তমান কঠিন অবস্থার প্রেক্ষিতে এটি খুব ভালো সিদ্ধান্ত।’
তবে মুনিরা খানের মতে, একটি কেন্দ্রে অনিয়ম হলে পুরো আসনে ভোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ফাঁক রয়ে গেছে। কতটা অনিয়ম হলে ভোট বাতিল হবে, ইসিকে তার মাপকাঠি ঠিক করার তাগিদ মুনিরা খানের।

মুনিরা খান বলেন, ‘হঠাৎ করে মনে হলো, না এখানে নির্বাচন ভালো হচ্ছে না, নির্বাচন বন্ধ করে দিলাম। একটু যাচাই-বাছাই করে বন্ধ করলে অনেকের ভোটাধিকার হরণের রাস্তাটা বন্ধ হবে।’জোটগতভাবে ভোট করলেও নিজ প্রতীকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকে যথাযথ মনে করছেন অনেকে। আর ভোটের আগেই হলফনামা যাচাইয়ের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

 

 

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button