‘ওরা ২০ হাজারে নামিয়েছে’

বিনোদন ডেস্ক : ‘জুলাই আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার কারণে একসময় আমাকে নিয়ে বলা হতো আমি নাকি কার কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা নিয়েছি। আমার অনেক ফেসবুক স্ট্যাটাসের নিচে আন্দোলনে বিরোধিতা করা অনেকেই এই নিয়ে মন্তব্য করছেন। টাকা নিয়ে আমি আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছি। এখন ২০০ কোটি থেকে অন্যরা ২০ হাজারে নামিয়েছে। আমাকে নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই।’ কথাগুলো বললেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
এই অভিনেত্রীর মতে, সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে তিনিসহ বেশ কয়েজন অভিনয়শিল্পী টাকার বিনিময়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এই গুজব নিয়ে অবশ্য আর কোনো কথা বলতে চান না বাঁধন।এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘সত্যিই…আপনাদের মানুষের পছন্দ নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কে দিয়েছে? শেখ হাসিনার মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন না—তার পরিণতি কী হয়েছিল, দেখেছেন সবাই। তাঁর পতনের পর আমি ভেবেছিলাম মানুষ অবশেষে শিক্ষা নেবে। কিন্তু না, অহংকার এখনো চলছেই।’
বাঁধন মনে করেন, সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। সবার রয়েছে নিজস্ব চিন্তাচেতনা। সেখানে কাউকে বাধা না দেওয়াই ভালো। তিনি লিখেছেন, ‘কোনো মানুষ কে কী করবেন, সেটা নির্দেশ করার অন্যরা কে? কে কাকে সমর্থন করবে বা করবে না—এটা পুরোপুরিই তাদের নিজের পছন্দ, আপনাদের দায়িত্ব নয় তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া। প্রতিটা মানুষের নিজস্ব মতামত রয়েছে। যদি তারা শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানাতে চায়, সেটা তাদের অধিকার। এটা আপনাদের সিদ্ধান্ত নয়। খারাপ মানুষ হিসেবে তাদের চিহ্নিত করা বন্ধ করুন। আপনার চিত্রনাট্যে মিলছে বলেই তাদের খারাপ বলা বন্ধ করুন।’
ফেসবুকে গুঞ্জন রটে, বাঁধনসহ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ১৫ আগস্টে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এই তথ্যকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ‘আপনাদের মনমানসিকতা এত সস্তা! প্রথম আমার নামে গুজব ছড়াল আমি নাকি জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০০ কোটি টাকা নিয়েছি। এটা একটা গুজব। এখন আমাকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে আমি ২০ হাজার টাকা নিয়েছি, শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পোস্ট করার জন্য। যা হাস্যকর।’ লিখেছেন বাঁধন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সত্যিকারের নেতা কখনো জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে না। তারা অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্যিকারের নেতা কখনোই কণ্ঠস্বরকে রোধ করে না। একজন সত্যিকারের নেতা ভিত্তিহীন গুজব ছড়ান না—তিনি মানুষের মনে আস্থা গড়ে তোলেন। একজন সত্যিকারের নেতা হন, একজন সত্যিকারের মানুষ হন। তা না হলে শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ব্যর্থ অনুকরণ হবেন। আর বিশ্বাস করুন, কারোরই আবার ট্র্যাজেডির সিকুয়েলের দেখার ইচ্ছা নেই।’