রাজনীতিলিড নিউজ

হাসিনার বিদ্যুৎ খাতের লুটেরা সাবেক মন্ত্রী বিপুর রংমহল তছনছ

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অবৈধভাবে দেড় একর জমিতে একটি বাগানবাড়ি নির্মাণ করা সেখানে গড়ে তুলেছিল নানা তদবির বাণিজ্যর রংমহল। ‘অবৈধ’ খানাপিনাসহ ডিজে পার্টির নাচানাচি ছাড়াও এখানে হোতো না না ধরনের রংবাজি।

কেরানীগঞ্জ থেকে সরেজমিনে লাবণ্য চৌধুরী: সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় লুটেরা সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ‘রংমহল’ ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটি বলেছে, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অবৈধভাবে দেড় একর জমিতে একটি বাগানবাড়ি নির্মাণ করা সেখানে গড়ে তুলেছিল নানা তদবির বাণিজ্যর রংমহল। ‘অবৈধ’ খানাপিনাসহ ডিজে পার্টির নাচানাচি ছাড়াও এখানে হোতো না না ধরনের রংবাজি।কিন্তু ‘রংমহলটি’ দখল করা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ’র জায়গা (বিআইডব্লিউটিএ) বলে তা ভেঙ্গে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে জানা গেছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতীরের জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দুই দিনের অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযানের প্রথম দিন বুধবার (২০ আগস্ট) সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি বাগানবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানে প্রায় দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাউটাইল মৌজায় কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত বাগানবাড়ির তিনটি দোতলা ভবন ও একটি ডকইয়ার্ডের প্রায় ২০০ ফুট সীমানাপ্রাচীরও ভেঙে ফেলা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, সরকার এরই মধ্যে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের সীমানা নির্ধারণ করে ৮০ কিলোমিটার এলাকায় পিলার স্থাপন করেছে। ২০০৯ সালে এসব নদীতীরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানা প্রতিকূলতার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুধবার ২০ আগস্ট উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কাউটাইল ও দোলেশ্বর এলাকায় নদীতীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button