রাজনীতিলিড নিউজ

ঢাকা-১৯ আসনে কফিল ভাইকে সবাই চায় আমিও চাই : জামাল সরকার

 

সাভার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আওয়ামী আমলে জনগণের অংশ গ্রহণে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আগামী নির্বাচনে আমি দলের মনোনয়ন চাইবো। ইনশাআল্লাহ চমক দেখিয়ে দিব।

 

স্টাফ রিপোর্টার : সাভার থানা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সাবেক সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন সরকার বলেছেন, বিএনপি কৃষকের দল, শ্রমিকের দল বিএনপি জনগণের কথা বলে আজ গণমানুষের দলে পরিণত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং সরকার গঠন করবে। কাজেই ঢাকা-১৯ আসন, সাভার থেকে বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ কফিলকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়, আমিও চাই। হাজী জামাল উদ্দিন সরকার বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাভারে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি খন্দকরা শাহ মাইনুল হোসেন বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে সাভারবাসী কোন ঝুট ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সংস্কারপন্থীকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় না। দলের নেতাকর্মী এবং জনগণের এ প্রত্যাশার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবহিত আছেন। সাভার পৌর, সাভার থানা ও আশুলিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে থানা রোডের তারাপুর মাঠে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন সাইফুল, সাভার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ রেফাত উল্লাহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু।

সভায় সাভার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন সরকার বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়ার দল করি। কোন ঘাতকের দল করি না। আমাদের নেতা আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানকে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নির্যাতন করে দেশ ছাড়া করেছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে আটকে রেখেছিল। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমাদের দলকে শেষ করে দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেও সফল হয়নি। আমরা জনগণের রায় নিয়ে আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য প্রস্তত। আপনারা বিএনপির পতাকাতলে আসার জন্য সকলকে আহ্বান জানাবেন।

তিনি বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কফিল ভাই আপনি সোজা হয়ে দাড়ান। সবাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনাকে চাচ্ছে, আমিও আপনাকে চাই। তিনি আরও বলেন, জামায়াত মৌলবাদী দল। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার জন্য পিআর পদ্ধতির কথা বলে বেড়াচ্ছে। আসন্ন ফেরূয়ারি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় আসলে সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের ঘৃণা জানাবে। তাই জামায়াতের উচিত স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য আগে ক্ষমা চাওয়া। তারপর রাজনীতিতে আসুন।

সভায় সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি খন্দকরা শাহ মাইনুল হোসেন আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষনজন্মা বীর পুরুষ। দেশের ক্রান্তিলগ্নে গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলটি একাধিকবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনক্রমে ভুল করবেন না। তিনি কোন সুবিধা ভোগী, জুট ব্যবসায়ি, সংস্কারপন্থীকে কিছুতেই দলের মনোনয়ন দিবেন না ।

এ সময় তিনি বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনকে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য এখন থেকে মাঠে থাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি প্রতিক্রিয়াশীল দল। যুদ্ধ অপরাধীর দল। তারা আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলছে। তারা পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছে। এ দেশের মানুষ রাজাকার জামায়াতকে চিনে। তারা এ দলকে চায় না।

সভায় সাভার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আওয়ামী আমলে জনগণের অংশ গ্রহণে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আগামী নির্বাচনে আমি দলের মনোনয়ন চাইবো। ইনশাআল্লাহ চমক দেখিয়ে দিব। তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে বিগত দিনে দেশের মধ্যে ছিলাম। কারাগারে বন্দি ছিলাম। আদালতের বারান্দায় ছিলাম। কখনও দেশ ত্যাগ করিনি। আমার সন্তানরা কেউ বিদেশে থাকে না। আমি কোন গার্মেন্টের জুট দখল করি না। জায়গা দখল করি না। কোন গার্মেন্টস মালিক আমাকে চিনেন না। আমিও কোন গার্মেন্টস মালিককে চিনি না।

সাভার পৌর সভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব রেফাত উল্লাহ বলেন, আওয়ামী নির্যাতনে অনেক বার জেল খেটেছি। মাসের পর মাস কারাগারে থেকেছি। দলে থেকে রাজপথে থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। যারা অতীতে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না, আওয়ামী লীগের সাথে মিলে মিশে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ করেছেন তারা আজ দলের নেতাদের হাত ধরে দলে ভেড়ার চেষ্টা করছে। তিনি নব্য বিএনপির বিষয়ে সকলকে সাবধান থাকতে আহ্বান জানান।

সভায় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর, ঢাকা জেলা বিএনপির নেতা রাশেদুল আহসান রাশেদ, আশুলিয়া থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল বাসেদ দেওয়ান, সহ-সভাপতি আবদুর রহমান বাবুল, সাভার পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহম্মেদ প্রদীপ, পৌর বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম খান, ঢাকা জেলা যুবদল নেতা শরীফ খান, সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসাইন ডালিম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী নেতা ও জাবি সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবাল, শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বাবুল, ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোখলেসুর রহমান ইলিয়াস শাহী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ ইউসুফ প্রমূখ।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button