অপরাধ

শ্রমিকের ২৫ কোটি মেরে ভক্ষক ইউনূস দুদকে

বিশেষ প্রতিনিধি : শ্রমিকের ২৫ কোটি টাকা মেরে দেয়ার খেসারতে ভক্ষক ইউনূসকে বৃহস্পতিবার  দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বুধবার ২৫ কোটি টাক মেরে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন, নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও এস. এম. হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হলে কমিশনের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর ১টার দিকে ওই কর্মকর্তারা কমিশন থেকে বের হয়ে যান।  এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা পৃথক চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৩ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন তারিখে তলব করে দুদক। বুধবার প্রথম দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৃহস্পতিবার ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।

দুদকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। বক্তব্য দিতে  দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।এর আগে গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশ থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

ইউনূস ছাড়া আরও যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তারা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ ও মো. শাহজাহান।

অন্য আসামিরা হলেন, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম।

১৯৯৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি হিসেবে যৌথ মূলধন কোম্পানিতে নিবন্ধিত হয়। গ্রামীণ ফোনে গ্রামীণ টেলিকমের ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। একই সালের ১১ নভেম্বর গ্রামীণ ফোন আইপিওতে আসে এবং এর  পাবলিক শেয়ার ১০ শতাংশ হয়। শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিক কর্মচারীদের দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম নিজেদের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দাবি করে শ্রমিক-কর্মচারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শ্রমিকদের লভ্যাংশ টাকা বিতরণের এক মাস আগেই তিনটি চেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের লোকাল অফিসের হিসাবে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button