‘আমরা গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ’
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি এবং গণতন্ত্র অর্জন করেছি। আমরা গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’যুক্তরাষ্ট্রের ১২ সদস্যের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ঢাকায় আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসকেরা অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গঠন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-২০০৮ সালের সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। দেশে ফিরলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর হুমকি উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা কূটনীতিকসহ সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের লক্ষ্য হলো সব অংশীজনের কথা শোনা। বনি গ্লিক বলেন, তাঁরা মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষমতাবলে এখানে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর চান।
দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেন, গণতন্ত্রের কিছু অন্তর্নিহিত সমস্যা আছে এবং এমনকি সমস্যাগুলো যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে। ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।