মেডিকেল রিপোর্টার : রাজধানীর শান্তিনগরে একটি ট্রাভেল এজেন্সির অফিসের ভেতরে এজেন্সির মালিককে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার নেপথ্যে বাহারের স্ত্রীর দাবি বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট মিস করায় তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।অন্যদিকে পৃথক একটি সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাহার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে না পাঠিয়ে ঘুরাচ্ছিল। এর জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার ১৪ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৫টা দিকে ভুক্তভোগী এম বাহারকে (৫০) অচেতন অবস্থায় তাঁর স্ত্রী জয়নব বেগমসহ অফিস স্টাফরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাহারের স্ত্রী জয়নব বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার শাখেরপুর গ্রামে। বাহারের বাবার নাম মৃত আলী আহম্মদ। এক সন্তান নিয়ে যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকায় থাকেন।
জয়নব বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘শান্তিনগর প্লাজার পাঁচতলায় এম বাহার ওভারসিজ নামে ট্রাভেল এজেন্সির অফিস। এই এজেন্সির মাধ্যমে আজকে আমার আপন ছোট বোনের স্বামী জাকির হোসেনের কাতার যাওয়ার কথা ছিল। আমার স্বামী সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু তারা এয়ারপোর্টে যেতে দেরি করায় ফ্লাইটটি মিস করে।’
জয়নব আরও বলেন, ‘আমি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য আগে থেকেই আমি আমার স্বামীর অফিসে ছিলাম। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফ্লাইট মিসের বিষয় নিয়ে আমার ছোট বোন ফাতেমা তার স্বামী জাকির হোসেন ও আমার আপন ছোট ভাই ইউনুস আমার স্বামীর অফিসে গিয়ে তাকে গলা টিপে ধরে এবং মাথায় ঘুষি দিতে থাকে। এই মারধরের কারণে আমার স্বামী অচেতন হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সে মারা যায়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শান্তিনগর থেকে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাহারের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করতে রমনা থানায় জানানো হয়েছে।