বিশেষ প্রতিনিধি : মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সংঘর্ষে জড়ানোর পর গত দুইদিনে সারাদেশে ৪৫টি জায়গায় আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
এরমধ্যে ঢাকায় আগুনে পোড়ানো হয় ১৯টি বাস, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি ট্রাক, ৭টি মোটরসাইকেল, ৩টি পিকআপ, ১টি সিএনজি। হরতালে বিচ্ছৃঙ্খলাকারীরা এসব পুড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি ও জামায়াত। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে দল দুটির নেতা-কর্মীরা। প্রকাশ্য রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করা এক পুলিশ সদস্যকে। আগুন দেওয়া হয় অসংখ্য গাড়ি ও হাসপাতালে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ২৮ জন সাংবাদিক ও ৪১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বিশৃঙ্খলায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার মুহূর্তে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়া হয়। হরতালের ভোর থেকেই শুরু হয়েছে গাড়িতে আগুন দেয়া। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার দুপুর ১টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সারাদেশে ৪৫টি আগুন দেয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এসবের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। রোববার ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৩টি আগুনের সংবাদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪টি ঢাকা সিটি এলাকায় ঘটে। সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে। আগুনের সংখ্যা ৪১টি। আর আগুন দেয়া যানবাহনের মধ্যে ১৯টি বাস, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি ট্রাক, ৭টি মোটরসাইকেল, ৩টি পিকআপ, ১টি সিএনজি পুড়ে গেছে।
এছাড়া পুলিশ বক্স, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে ঢাকার শাজাহানপুর ফ্লাইওভারের নিচে আগুন নেভানো শেষে ফেরত যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি ভাঙচুর করে তাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।