অস্ত্র সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ধরার নির্দেশ ইসি’র
এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার অস্ত্র সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ধরার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে এবং নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে রাখতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ রোববার (৩রা ডিসেম্বর) জারি করা ইসির পরিপত্র-৯ এ এই নির্দেশ দেওয়া হয়।৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান। নির্দেশনায় সুনির্দিষ্ট পাঁচটি বিষয় নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিপত্রে বলা হয়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনে একাধিক বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের ভোটার বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারেন, তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানাতে হবে।
এছাড়া, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ২ হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।