আড়ত ফেলে দৌড় দোকানী-মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অভিযানে
স্টাফ রিপোর্টার : মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অভিযানে চালের আড়ত ফেলে দৌড় দিয়েছে দোকানী। অস্থির চালের বাজার দমাতে মাঠে নামা সরকারী দলের এক অভিযানে এ চিত্র ধরা পড়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে। ধানের ভরা মৌসুমেও দাম বাড়া নিয়ন্ত্রণ করতেই অভিযান চালানো হচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে রাজধানীর অন্যতম চালের আড়ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে
অভিযান চালানো হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্রাবস্তী রায়ের নেতৃত্বে অভিযান চালায় একটি দল। কিন্তু অভিযানের খবর পেয়েই দোকান ছেড়ে পালিয়ে গেলেন ব্যবসায়ীরা। পরে অভিযান শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দোকানে ফিরে স্বাভাবিক ব্যবসা চালিয়ে যান তারা। এদিকে পালানো ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করেছে তদরকি দল। তারা জানিয়েছে, যারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করে পালিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মডার্ন রাইস এজেন্সিসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম-২-এর প্রধান শ্রাবস্তী রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে চালের আড়তগুলো দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে আমাদের পুরো পরিস্থিতি বুঝতে হয় এবং স্টক মিলিয়ে দেখতে হয়। কিন্তু আজ আমাদের সঙ্গে তারা তেমনভাবে সহযোগিতা করেননি।’
শ্রাবস্তী রায় আরও বলেন, ‘আজ আমরা ব্যবসায়ীদের কাউকেই পাইনি। কাজেই এই মুহূর্তে আমরা এই কাজটি (তদারকি) করছি না। তবে আমরা তাদের নামগুলো নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পর্যায় থেকে তাদের নোটিফিকেশন করে ব্যবস্থা নেবো।’
অভিযানে ফুড গ্রেইড লাইসেন্সসহ ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে একজনের কাছে ফুড গ্রেইড লাইসেন্স পাওয়া যায়নি এবং আরেকজনের লাইসেন্স থাকলেও রিনিউ করা হয়নি। তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। এছাড়া মিল থেকে সর্বশেষ কবে চাল কেনা হয় এবং কত টন চাল রয়েছে সে-সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন না তাদের নোটিশ করা হবে বলেও জানান তদারকি দলের প্রধান শ্রাবস্তী রায়।
শ্রাবস্তী রায় বলেন, ‘এখানে অনেক দোকানদারদের পাইনি। যারা আছেন তাদের কারও লাইসেন্স আছে কিন্তু রিনিউ করা নেই। আবার কেউ করেননি। যারা নিয়ম মানছেন না তাদের নোটিশ দেওয়া হবে। যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাইনি এবং যাদের পেয়েছি তাদের তথ্যগুলো আবার ভ্যারিফাই করবো।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো মানা দরকার এবং দাম সহনশীল রাখতে যা আরোপ করা দরকার তা করা হবে। আশা করছি তারা নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করবেন এবং চালের দাম কমাবেন।’