কোকেন মাফিয়া টার্গেটে ঢাকা-বাংলাদেশীসহ ৪ ক্রিমিনাল পাকড়াও
স্টাফ রিপোর্টার : কোকেন পাচারে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক চক্র ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।গত বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা হতে আট কেজি ৩০০ গ্রামের একটি কোকেনের চালার আটক করে ডিএনসি ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।
দেশে আটক হওয়া সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালানসহ সেদিন ধরা পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাওয়ের এক নারী।এরপর ওই ঘটনার তদন্তে নামে ডিএনসি। এরপর বেরিয়ে আসে আরো তথ্য। ধরা পড়েছে দুই বাংলাদেশিসহ মোট পাঁচজন।
তারা হলেন- এ চক্রের হোতা নাইজেরিয়ার ডন ফ্রাঙ্কির ম্যানেজার বাংলাদেশের আসাদুজ্জামান আপেল (২৭), তার সহযোগী সাইফুল ইসলাম রনি (৩৪), ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিন ইয়েঙ্গে এবং নাইজেরিয়ার ননসো ইজেমা পিটার ওরফে অস্কার (৩০) ও নাডুলে এবুকে স্ট্যানলি ওরফে পোডস্কি (৩১)।
ডিএনসির মহাপরিচালক মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, মূলত ইথিওপিয়া থেকে দুবাই হয়ে এই কোকেনর চালানটি বাংলাদেশে আসে। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে কোকেনের চালানটি পাচার করার উদ্দেশ্য ছিলো ওই চক্রের।তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দুই বাংলাদেশীসহ এ ঘটনায় চার দেশের পাঁচ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে এরা বাংলাদেশে ঢুকতো।
আর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এ চক্রের ভাড়া বাড়ির সন্ধান মিলেছে বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।তিনি আরো বলেন, আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।