বিশেষ প্রতিনিধি : জার্মানিতে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রমজানে চাহিদা বেশি থাকা পণ্য আমদানির উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অনেক আগেই এর জন্য ব্যবস্থা করেছি।’
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জার্মানিতে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশ্বাস দেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘রমজানে কোনো কিছুর (অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের) অভাব হবে না। ইতোমধ্যেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না।’
রমজানে চাহিদা বেশি থাকা পণ্য আমদানির উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অনেক আগেই এর জন্য ব্যবস্থা করেছি। আগামী পাঁচ বছরে সরকার কোন বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দেবেন, তা নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আগামী পাঁচ বছর কাজ হবে যেহেতু আমাদের উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা শুরু হবে ২০২৬ থেকে, কাজেই যে সময়টুকু পাব সেটাকে কাজে লাগিয়ে যথাযথভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং সেদিকে আমরা মনোযোগ দিয়েছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিটি গঠন করে আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
উন্নয়ন টেকসই করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে সরকারের প্রধান গুরুত্বই থাকবে আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি যেটা হয়েছে, সেটা যেন টেকসই হয়। কারণ, যে পর্যায়ে থেকে আমরা উঠে এসেছি, সেটা টেকসই করে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একটা হচ্ছে জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়ন ২০৩০ সালের মধ্যে। সেটা আমরা সময় পেয়েছি ২০৩২ সাল পর্যন্ত এবং এর মধ্যে যেগুলো আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য, সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
গত ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মেলনে মূলত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা, সংবাদমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।এটি সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চ পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার একটি শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। এ বছরের ফোরামে ৩৫ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেন।