প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যায় উত্তপ্ত টেকনাফ
কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার তার মরদেহ নিয়ে সড়কে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। নিহত গোলাম আকবর লালু হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল তেচ্ছিব্রিজ এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় দিনমজুর। বাড়ির ময়লায় দেওয়া আগুনের তাপ আম গাছে লাগায় গত সোমবার প্রতিবেশীরা তাকে রড ও লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহতের ছোট ভাই শাহ আলম বলেন, গত সোমবার আমার ভাবী (গোলাম আকবরের স্ত্রী) বাড়ি পরিষ্কারের পর ময়লা এক স্থানে জড়ো করে তাতে আগুন দেন। পাশের বাড়ির আম গাছে সেই আগুনের তাপ লাগায় প্রতিবেশী নুর আহমেদ, তার ভাই নজির আহমদ ও সোলতান আহমেদ আমার ভাইকে ডেকে নেয়। পরে আবছার কবির আকাশ, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ইসলাম, আব্দুর রহমান, মুফিজ আলম, আব্দু রহিমসহ আরও ৪-৫ জন তাদের সঙ্গে মিলিত হয় ও রড-লাঠি দিয়ে আমার ভাইকে মারধর করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার স্ত্রীও মারধরের শিকার হন।
পরে সেখান থেকে আকবরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাঁচ দিন ভর্তি থাকার পর শুক্রবার সকালে হাসপাতালে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আকবরের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ রবিবার আকবরের মরদেহ সড়কে রেখে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এ সময় তাদের হাতে ‘গোলাম আকবর হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল।
নিহতের মেয়ে রায়সা মনি বলেন, যারা বাবাকে হত্যা করে আমাকে এতিম করছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের পর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। চাচাতো ভাই মুসা আকবর বলেন, তারা বড় লোক, আমরা দিনমজুর। আম গাছে সামান্য তাপ লাগায় আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।ঘটনা সম্পর্কে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।