কোর্ট রিপোর্টার : ঢাকা আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২৫) কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে দুদিনব্যাপী ভোগগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের নীল প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভোটগ্রহণ চলাকালে কোর্ট চত্বরে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ দিন সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।জানা গেছে, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হলে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুরে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান কমিটির নেতারা ভোটকেন্দ্রে এসে জোরপূর্বক ভোটগ্রহণ স্থগিত করান বলে অভিযোগ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। ঘটনায় সময় হাতাহাতি-ঠেলাঠেলিতে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছে বলেও জানান তারা।
এদিকে শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে ৩০ হাজার ১২১ জন আইনজীবী সদস্য রয়েছেন। যার মধ্যে এবারের নির্বাচনে ২১ হাজার ১৩৭ জন আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল। নির্বাচনে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ১০ জন কমিশনার এবং ১০০ জন সদস্য সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছেন।
এবারের নির্বাচনে ২১ হাজার ১৩৭ জন আইনজীবী ভোটার হলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৯ হাজার ৬৯০ জন। এ হিসাবে দুদিনে ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট দেন চার হাজার ২৩০ জন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে যথারীতি সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ভোট দেন পাঁচ হাজার ৪৬০ জন।
পরে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে ভোটকেন্দ্রে নির্ধারিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে নকল স্ক্যানিং করা ব্যালট পেপার পাওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বারের সাবেক কয়েকজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল সাড়ে ৩টায় ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।