এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চান না ভবন মালিকরা প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৪৫ জন লোক মারা গেছে। এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার (অগ্নিনির্বাপক) লাগানো, ফায়ারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না। আর আমি জানি, নিশ্চয়ই ইন্স্যুরেন্স কিছুই নাই। কাজেই তারা বিনিময়ে কিছু পাবেও না।
বহুতল ভবন নির্মাণের সময় অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিয়ে মালিকদের মানসিকতার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ সমালোচনা করেন।
বক্তব্যে বিমার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের বিমা এখন যে চালু করা হয়েছে, এটা আমি মনে করি, মানুষকে আরও নিরাপত্তা দেবে, তবে এখানে একটা কথা না বলে আর পারছি না। কারণ এখানে আমি নিজে প্রত্যক্ষদর্শী এবং আমি নিজেই সেটা দেখেছি।
অনেক সময় বিমা নিয়ে অনেকেই আবার নানা ধরনের ব্যবসাও করে। হয়তো কোথাও একটু দেখাল আগুন লেগেছে। ক্ষতির পরিমাণ যতটুকু না, তার থেকে খুব বেশি দাবি করে বসে।এই দাবি শুধু করে না, যারা যায় পরীক্ষা করতে, তাদেরও ম্যানেজ করে ফেলে। ফলে বিরাট অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যায়। এ রকম দুই-একটা কেস আমি নিজে ধরেছি।
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই’ নামের রেস্তোরাঁর ভবনে বৃহস্পতিবার রাতে ধরা আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই যে আজকেই আপনারা দেখেন, বেইলি রোডে যে আগুনটা লাগল, সেখানে একটা মাল্টি-স্টোরিড বিল্ডিং (বহুতল ভবন)। সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট (অগ্নিকাণ্ডে জরুরি বহির্গমন পথ) নেই এবং
সাধারণত আমি সবসময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট (স্থপতি), তাদের রিকোয়েস্ট করি যে, আপনারা অন্ততপক্ষে যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের (বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা) ব্যবস্থা করবেন, কিন্তু যারা তৈরি করতে চায়, আর্কিটেক্টরা ওই রকম ডিজাইন ঠিকমতো করবে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
আগুনে এত মানুষের প্রাণহানি নিয়ে তিনি বলেন, ৪৫ জন লোক মারা গেছে। এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার (অগ্নিনির্বাপক) লাগানো, ফায়ারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না। আর আমি জানি, নিশ্চয়ই ইন্স্যুরেন্স কিছুই নাই। কাজেই তারা বিনিময়ে কিছু পাবেও না।