ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারতের মেট্রোরেলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে গঙ্গার তল দিয়ে মেট্রো পরিসেবা উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার (৬ মার্চ) এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সমগ্র ভারতের মধ্যে নদীর তলদেশ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ঘটনা এই প্রথম।
একই দিনে কলকাতার আরও দুটি রুটের সম্প্রসারিত অংশের মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। এ সময় তিনি স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে মেট্রো যাত্রায় সামিল হন। নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করার কয়েকদিনের মধ্যেই এই মেট্রো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। আজ এই নদীর তলদেশের মেট্রো পথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হুগলি নদীর তলদেশ থেকে ধর্মতলা-হাওড়া রেলপথ চালু করেন। নদীর তলদেশের ৩৪ মিটার তল থেকে চলে গেছে এই রেলপথ। রেলপথ চালুর সঙ্গে সঙ্গে এই মেট্রোরেল পথের স্টেশনসংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে ২৬ হচ্ছে।
গঙ্গার তলদেশের মেট্রোর উদ্বোধন করে সেই মেট্রো ট্রেনে চড়েছেন মোদি। তিনি ধর্মতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত যান। হাওড়ায় নেমে তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সদর বারাসাতের কাছারি ময়দানে বিজেপির নারী মোর্চা আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর এই শহরেই প্রথম মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে সেটি ছিল পাতাল রেল। প্রথমে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এই রেলপথ চালু হওয়ার পর পরবর্তী সময় এই মেট্রো ট্রেনের চলার পথ বেড়ে ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত দাঁড়ায়। দমদম থেকে ধর্মতলা হয়ে একেবারে টালিগঞ্জ পর্যন্ত এই রুট। পরে এই পথ টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া এবং দমদম থেকে বাড়িয়ে করা হয় নওয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত।