ইলিশের চড়া দাম -বৈশাখে পান্তা ইলিশ কি মিলবে!
লাবণ্য চৌধুরী : এবার পয়লা বৈশাখ ইলিশের আকাল চলছে। বৈশাখে পান্তা ইলিশ না হলে কি চলে! কিন্তু এবার যে ইলিশের দাম তাকে পান্তা ইলিশ সবার কপালে যুটবে কিনা সন্দেহ ঘনিভূত হচ্ছে! অথচ রাত পোহালেই ১লা বৈশাখ!! বাংলা নববর্ষকে ঘিরে আকাশচুম্বী ইলিশের বাজার। আড়াই হাজার টাকাতেও মিলছে না এক কেজি ইলিশ।বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম বেশি।
এবার ঈদের পর পয়লা বৈশাখ। ঈদের ছুটিতে রাজধানী এখনও ফাঁকা। এরই মধ্যে আগামীকাল রোববার পয়লা বৈশাখ। ছুটির আমেজ থাকায় রাজধানীর বাজারে বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ। ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও সবার নজর মাছের বাজারের দিকে। বিশেষ করে ভিড় ইলিশের দোকানে। তবে দাম অনেক বেশি।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে আজ শনিবার ১৩ এপ্রিল দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম ওজনের ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা কেজি। ৭০০ গ্রামের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা আর এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টকা। আর এক কেজির বেশি আকারের ইলিশের দাম কেজিতে ৩ হাজার টাকারও বেশি।
বিক্রেতাদের দাবি, মাছ না আসার কারণে বাজারে দাম বেশি। আমাদের কিছু করার নেই। পয়লা বৈশাখের আগে প্রতিবারই দাম একটু বাড়ে। তার ওপর এবার মাছের সরবরাহ কম। সব মিলিয়ে দাম চড়া।রাজধানীর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি আসে বরিশাল এলাকা থেকে। সেখানেও চলছে ইলিশের আকাল। যতটুকু মিলছে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ক্রেতারা বলছেন, সব মাছের দোকানে ইলিশ নেই। যাঁদের কাছে ইলিশ মাছ আছে তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কিনছেন, আবার অনেকে ইলিশ মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। জানা গেছে, দেশে ইলিশের অভয়াশ্রম ছয়টি। এর মধ্যে চারটি বরিশাল বিভাগে। যার তিনটিতে ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।