বিশেষ প্রতিনিধি : কারিগরি বোর্ডে জাল সার্টিফিকেটের কিসিঞ্জার কি আকবর ? এবার তাকে জোর সন্দেহ করছে ডিবি। জালিয়াত সম্রাট সামসুজ্জামানের জবানবন্দীতে কিসিঞ্জার আকবরের নাম উঠে এসেছে। এর প্রেক্ষিতে
এবার কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি। অপসারিত চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল জালিয়াতির গোমর বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ সোমবার ২২ এপ্রিল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ। তিনি বলেছেন, আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। সনদ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে রোববার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ বলেন, সনদ জালিয়াতির সঙ্গে আলী আকবর খানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চান, জাল সনদ প্রিন্ট (ছাপা) ও বিক্রির অভিযোগে আটক হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানের জবানবন্দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুজন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের আটজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
জবাবে হারুন অর-রশীদ বলেন, ‘পুলিশ, সাংবাদিক, দুদক—সবাইকে তো মানুষ ভয় পায়। আমরা যদি কারও পক্ষে থাকি, সেই মানুষগুলো সাহসী হয়।’ তিনি বলেন, ‘সিস্টেম অ্যানালিস্ট ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে যা যা বলেছেন, তা আপনারা অনেকেই শুনেছেন। যাঁদের নাম এসেছে, পর্যায়ক্রমে ডাকব। হারুন অর-রশীদ আরও বলেন, ‘সকলের সঙ্গে কথা বলে তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মামলাটি শেষ করব।’