সোয়া কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রেজিস্টার ওহিদুলের
কোর্ট রিপোর্টার : দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট চালিয়ে আসছিল রেজিস্টার ওহিদুল। অবৈধ টাকায় ধরাকে সরা জ্ঞান করছিল। দাপট দেখাচ্ছিল আর বলছিল যে তার কিছু্ই করতে পারবে না কেউ।কিন্তু বিধিবাম ওহিদুলের লুটপাট সহ্য করেনি দুদক। নয় ছয় দিয়ে দুদককে বুঝ মানাচ্ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
‘সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য বা ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল করে পার পাওয়ার চেষ্ঠায় ১ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ এর তথ্য গোপন করে।
এরই প্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (১২ মে) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা-১ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ২১ সেপ্টেম্বরের মামলায় গত ৩০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় এবং একই তারিখে তাকে হাজতে পাঠানোয় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৩৯-এর উপধারা ২ অনুযায়ী উক্ত তারিখ থেকে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি নিবন্ধন অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন ।
এদিকে, গত ৩০ এপ্রিল দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার এ সরকারি কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য বা ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এ মামলা তদন্ত করে গত ৯ জানুয়ারি অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ৩০ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন অহিদুল ইসলাম। আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।