মোঃ জাহাঙ্গীর আলম : বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরিন আকতার ও সন্তানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ক্যাপিটাল বনানী ওয়ান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন আহমেদের কাছ থেকে দুটি দলিলে ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি কেনায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে সোমবার (২৭ মে) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ক্যাপিটাল বনানী ওয়ান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন আহমেদের কাছ থেকে দুটি দলিলে ১১০ কোটি টাকায় ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি কেনেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। কিন্তু দলিল মূল্য দেখানো হয়, ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। পরে জমিটি তিনি স্ত্রী শিরিন আকতার, ছেলে শেখ রাফা হাই, শেখ ছাবিদ হাই অনিকের নামে হস্তান্তর করেন।
স্ত্রী, সন্তানদের নামে দলিল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর এবং ছদ্মাবরণের মাধ্যমে বৈধ করার অপচেষ্টায় ভাই বিএম কম্পিউটার্স ও ক্রাউন প্রোপার্টিজের মালিক শেখ শাহরিয়ার পান্না, দলিলদাতা আমিন আহমদ এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুদকের সহকারী পরিচালক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজীর সুপারিশ অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রোববার (২৬ মে) চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক। অনুমোদন পেয়ে সোমবার (২৭ মে) আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের হওয়া ৫৯টি মামলায় গত বছরের (২০২৩) ১২ জুন আদালতে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৫ সালে এসব মামলা হলেও কোনও মামলার এজাহারেই আসামি হিসেবে নাম ছিল না ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর পর দেওয়া চার্জশিটে ৫৯টি মামলার মধ্যে ৫৮টি চার্জশিটেই আসামি হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।