শফিক রহমান : খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, টাকার অবমূল্যায়নে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে জাতীয় সংসদে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে সংকোচনমূলক। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভের ক্ষয় রোধ ও ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কারণে ঘাটতি বাজেটের আকার ও অনুপাত কমিয়ে বৃহস্পতিবার আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এবার বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। এতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। এজন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের ভিত্তিতে ভ্যাট ও কর ব্যবস্থায় বেশকিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে অর্থ বিভাগ ও এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
এবার পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর আহরণে জোর দেয়া হচ্ছে বেশি। বেশকিছু খাত থেকে কর অব্যাহতি তুলে নেয়ার পাশাপাশি সংকুচিত হতে যাচ্ছে করছাড়ের আওতা। আগামী অর্থবছরে কর অব্যাহতির আওতা কমানোর মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিশ্রেণীর সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হতে পারে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে পাওয়া ৪০ লাখ টাকার অতিরিক্ত মুনাফায় ‘ক্যাপিটাল গেইন’ কর আরোপের সিদ্ধান্ত আসতে পারে, যার সম্ভাব্য হার ১৫ শতাংশ। করজালের বিস্তার বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন অর্থবছরে সম্প্রসারিত হতে যাচ্ছে ভ্যাটের আওতাও।
আসন্ন বাজেটে তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্রঋণ, রেমিট্যান্স, পোলট্রি ও ফিশারি খাতে করছাড়ের পরিমাণ কমিয়ে আনা হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত কয়েকটি খাদ্যপণ্য উৎপাদনে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা আসারও সম্ভাবনা রয়েছে।আসন্ন বাজেটে এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরা হচ্ছে।
এবারের বাজেটে মোট ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি পূরণের জন্য বিদেশী ঋণের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করতে হয় সরকারকে। কিন্তু বর্তমানে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিদেশী উৎস থেকে ঋণের সংস্থান করতে পারছে না সরকার। এজন্য বাজেটের ঘাটতি পূরণে বাড়ানো হচ্ছে ব্যাংক খাতনির্ভরতা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশী উৎস থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে সে লক্ষ্য ৭৬ হাজার ২৯৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। বিপরীতে বেড়েছে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা। সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আয়ে ব্যর্থতা ও বিদেশী ঋণ না পাওয়ায় এরই মধ্যে বাজেটের আকার ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে। সংশোধিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত এ বাজেটের বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয় রয়েছে।
সংশয় রয়েছে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ নিয়েও। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছে এনবিআর। সংশোধিত বাজেটে এনবিআরকে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শুধু মে ও জুনে সংস্থাটিকে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করতে হবে। বিরাজমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এটিকে অনেকটা অবাস্তব বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
তাদের ভাষ্যমতে, দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছিল প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়া। এজন্য পরিচালন ও অবকাঠামোগত ব্যয় কমিয়ে আনার দরকার ছিল। কিন্তু সেটি দেখা যায়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হলে রাজস্ব আহরণের মাত্রা বাড়ানোরও সুযোগ ছিল অনেক।
প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বাড়িয়েছে সরকার। শুধু চলতি মাসেই ব্যাংক খাত থেকে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়া এবং রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সরকারকে ব্যাংক খাত থেকে আরো বেশি ঋণ নিতে হতে পারে।
সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, অনেক দিন ধরে দেশের সাধারণ মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে প্রবৃদ্ধির দিকে না তাকিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছিল। ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করে ৯ থেকে প্রায় ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো বেড়ে যাচ্ছে। সরকার ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে ধার নিয়ে ৩-৪ শতাংশ বেশি সুদে ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনছে। এভাবে চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি কমবে না। উল্টো ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতবিমুখ হয়ে কেবল সরকারকে ঋণ দিয়ে মুনাফা বাড়াবে। এতে দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষ আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে অবশ্যই ব্যয় কমাতে হবে। অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প ও অবকাঠামো নির্মাণ, নতুন গাড়ি কেনার মতো প্রকল্প বন্ধ করতে হবে। সরকারের রাজস্ব নীতি সংস্কারের পাশাপাশি আয় বাড়াতে হবে। অন্যথায় সরকারের রাজস্ব নীতির কারণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কোনো কাজে আসবে না। মূল্যস্ফীতিও কমবে না।’
এর আগে কয়েক বছর ধরেই বাজেটের আকার বড় করতে গিয়ে ঘাটতির পরিমাণও বড় হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে ঘাটতির আকার ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির আকার ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি পূরণে বিদেশী উৎস থেকে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার প্রত্যাশা করছে সরকার। আর ব্যাংক খাত থেকে নেয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য স্থির করেছিল সরকার। কিন্তু পুরো অর্থবছরজুড়েই সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে নগদায়ন হয়েছে বেশি। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ না বেড়ে উল্টো ১২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা কমে গেছে। বাস্তবতা আমলে নিয়ে সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঋণাত্মক ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে সরকার।
বিদেশী উৎস ও সঞ্চয়পত্র থেকে প্রত্যাশিত ঋণ না পেয়ে সরকার এখন পুরোপুরি ব্যাংক খাতনির্ভর হয়ে পড়েছে। ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ঘোষিত লক্ষ্যের চেয়েও বেশি ঋণ নিচ্ছে সরকার। এ কারণে ব্যাংক খাতের বিরাজমান তারল্য সংকট আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক দৈনন্দিন লেনদেন মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ধার নিয়ে চলছে। সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে নেয়া সে ধারের বেশির ভাগ আবার ট্রেজারি বিল কেনার মাধ্যমে সরকারকে ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি কিংবা পরিশ্রম ছাড়াই ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশের বেশি সুদ মার্জিন পাচ্ছে। এরই মধ্যে ট্রেজারি বিলের সুদহার ১২ শতাংশ উঠে গেছে। আর ট্রেজারি বন্ডের সুদহার উঠেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। সরকারের ঋণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসে ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার আরো ১-২ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার ক্রমেই বাড়তে থাকায় সরকারের সুদ খাতের ব্যয়ও ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, সরকারকে এত পরিমাণ ঋণের জোগান দেয়ার সক্ষমতা এখন দেশের ব্যাংক খাতের নেই। তিনি বলেন, ‘সুশাসনের ঘাটতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দেশের ব্যাংক খাতের সক্ষমতা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন ব্যাংকগুলোয় বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার কোনো তাগাদা নেই। ব্যাংকের এখন প্রধান কাজ ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনা করা। ব্যাংক কর্মকর্তারা ঘুমিয়ে থেকেও আয় করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে ধার নিয়ে সরকারকে বেশি সুদে ঋণ দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার আরো অনেক বেড়ে যাবে।
এতদিন দেশে সবচেয়ে বেশি সুদ ছিল সঞ্চয়পত্রে। কিন্তু এখন ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদ সঞ্চয়পত্রের চেয়েও বেশি। এ কারণে অনেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেও বিল-বন্ড কিনছে। আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া দরকার। বিপরীতে বন্ডের বাজার সহজলভ্য করে দিতে হবে। ব্যাংকের সব শাখায় বিল-বন্ড কেনাবেচা চালু করতে হবে। এতে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সুদহারও বাজারভিত্তিক হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের প্রায় ৬৪ শতাংশই ব্যয় হবে সরকারের পরিচালন খাতে। আগামী অর্থবছরে এ খাতে সরকারের ব্যয় দাঁড়াবে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই ব্যয় হবে সরকারের নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে। দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে। উন্নয়ন খাতের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের প্রকাশিত ডেট বুলেটিনের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮১৪ কোটি ও বিদেশী উৎস থেকে নেয়া হয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকার ঋণ। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫২১ কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়েছে ব্যাংক খাত থেকে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো থেকে এ ঋণ নিয়েছে সরকার।