ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি এবার পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আর আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছে।বাংলাদেশের এখনকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা এবং সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারত্ব কীভাবে এগিয়ে নেবে পেন্টাগন?
জবাবে প্যাট রাইডার বলেন, ‘দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় এ বছরের মে মাসে জেনারেল আহমেদের (আজিজ আহমেদ) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আর আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই নিষেধাজ্ঞা। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে পেন্টাগনের সমর্থন আছে।’
পেন্টাগনের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সবশেষে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে ওয়াশিংটনের। আর এই অংশীদারত্ব গড়ে উঠেছে অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সমুদ্রসীমা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে।’
দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত ২১ মে জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস আইনের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার ফলে জেনারেল আজিজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।