৮ বিভাগের খবররাজনীতি

যেকোনো সময় জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার : যেকোনো সময় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এটি এখনও প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রজ্ঞাপন জারি হবে যেকোনো মুহূর্তে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এখনও ফাইল পাইনি। আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা সকালে একটা মিটিং করেছি। দুপুরে একটা মিটিং করেছি। আমাদের মিটিং ছিল ১৫ আগস্ট জাতির পিতার ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গেও জামায়াতকে নিষিদ্ধসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির আগেই নিষিদ্ধ ছিল। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকগুলো এবং সুশীল লোকগুলো জামায়াতকে নিষিদ্ধের কথা বলে আসছেন। এটা সাধারণ মানুষের দাবি ছিল। এ নিয়ে ১৪ দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তারাও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছিলেন। জামায়াত-শিবির চলমান পরিস্থিতি তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে জামায়াত-শিবির-বিএনপি ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতেই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।গত ১৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য এই কমিশন করা হয়েছে। ছয়জন নিহতের কারণ উদঘাটন ও তাদের নিহতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় নিহতের কারণ উদঘাটন ও তাদের নিহতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, একইসঙ্গে তদন্ত কমিশন গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও করপোরেশন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button