নেপালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে মিরাজুলের জোড়া গোলে নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।খেলায় প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে গোল পায়নি নেপাল। বিপরীতে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরও দুই গোল করে। শেষ দিকে এসে স্বাগতিকরা এক গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি। এরপর বাংলাদেশ আরও এক গোল পায়। তাতেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মিরাজুল ইসলামের জোড়ায় বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসব করেছে।
মিরাজুল দুটি ছাড়াও রাব্বি হোসেনের গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। এছাড়া চতুর্থ গোলটি এসেছে পিয়াস আহমেদ নোভার লক্ষ্যভেদে।এনিয়ে সাফের বয়সভিত্তিক আসরে বাংলাদেশের দুটি শিরোপা এলো। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে সিলেটে ট্রফি জিতেছিল সাদউদ্দিনরা। আর আজ কাঠমান্ডুতে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। এছাড়া কাঠমান্ডুর মাঠ বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। ১৯৯৯ সাফ ফুটবল (এস এ গেমস), ২০২২ সালে মেয়েদের সাফের শিরোপা এসেছিল। মাঝে নারীদের বয়সভিত্তিক আসরের শিরোপা ঘরে ওঠে।
নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচের শুরু থেকে স্বাগতিকরা দাপট দেখায়। একের পর এক আক্রমণ করে বাংলাদেশকে চাপে রাখে। দুই দলই ৪-৩-৩ ছকে খেলছে। ১০ নম্বর জার্সিধারী নিরঞ্জন ধামি বাংলাদেশের আক্রমণ ভাগকে তটস্থ রাখেন। ম্যাচের ৯ মিনিটে নেপাল প্রথম আক্রমণ করে। নিরঞ্জনের দূরপাল্লার শট পাঞ্চ করে ক্লিয়ার করেন আসিফ। অসাধারণ সেভ।১৩ মিনিটে ফের নিরঞ্জনের বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট আসিফ রুখে দেন। ২১ মিনিটে নেপালের ফরোয়ার্ডের কাটব্যাকে অভিনাসের ভালো জায়গা থেকে এলোমেলো শটে গোল হয়নি।
৩০ মিনিটে নিরঞ্জনের জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বাংলাদেশ মাঝে মধ্যে আক্রমণ করেও গোল পায়নি। তবে ধারার বিপরীতে যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। বক্সের বাইরে থেকে মিরাজুলের ফ্রি কিক থেনে নেওয়া বাঁকানো শট সাইড পোস্টের ভেতরে লেগে বিপরীত দিকে জালে জড়িয়ে যায়।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।ড্রেসিংরুম থেকে ঘুরে এসে বাংলাদেশ আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে। আরও তিন গোল আসে এই অর্ধে।
৫৫ মিনিটে মিরাজ জোড়া গোল করে বাংলাদেশকে ফের এগিয়ে নেন। আসাদুল ইসলাম সাকিবের ক্রসে আসাদুল মোল্লা হেড করে গোলমুখে দেন, মিরাজ চলতি বলে মাথা ছুঁয়ে গোলের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।৭১ মিনিটে মিরাজ এবার গোল করান রাব্বি হাসান রাহুলকে দিয়ে। বল নিয়ে একাই বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ঢুকে মিরাজুল তার মার্কারকে বডি ডজ দিয়ে আনমার্কড রাহুলকে পাস দেন। রাহুল ডানপায়ের নিখুত শটে ডান দিক দিয়ে গোল করেন।
তিন গোল হজমের পর নেপালি দর্শকরা মাঠে বোতল ছুড়ে মারলে কিছুক্ষণ খেলা থেমে থাকে। খেলা ফের শুরু হলে শেষ দিকে খেলা আরও জমে উঠে। ৮১ মিনিটে রাম থাপার ক্রসে আসিফ ফ্লাইট মিস করলে সামির তামাং হেডে গোল করে ব্যবধান কমান। ১০ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়।যোগ করা সময়ে রাব্বি হোসেনের ক্রসে পিয়াস আহমেদ নোভার প্লেসিং গেলকিপারের শরীরে লেগে গোল লাইন অতিক্রম করে। এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলেও রেফারি জাফরান মোহাম্মদ গোলের বাঁশি বাজান। চার গোলে জিতে বাংলাদেশের শিরোপা নিশ্চিত হয়।