নিত্য পণ্য নিয়ে কোনো খেলা চলবে না
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যারা কোনো রকমের খেলা খেলতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিত্য পণ্য নিয়ে কোনো খেলা চলবে না।তিনি বলেছেন, মহামারির মধ্যে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০টি নতুন ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক এলাকায় মন্দা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ এর ওপর আরও বেশি প্রভাব ফেলছে।তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখন খাদ্যের জন্য হাহাকার। ইনফ্লেশন রেট কোথাও ১৭ পার্সেন্ট পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অনেক ইউরোপিয়ান দেশে ৭, ৮, ৯ পার্সেন্ট ইনফ্লেশন রেট। তারপরও আমরা কিন্তু আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধের কারণে আপনারা জানেন যে বিদেশ থেকে যে সমস্ত জিনিস আমরা আমদানি করি, সেগুলো আনা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে, পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দেশ তাদের উৎপাদিত পণ্য আর রপ্তানি করছে না বা তারাও বিপদে আছে।এ কারণে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে আমাদের যে মাটি, মানুষ আছে, সেটাই ব্যবহার করে আমাদের নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যেখানে যার যতটুকু আছে তা আবাদ করবেন। নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরা ব্যবহার করার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন কারও মুখাপেক্ষী হয়ে আমাদের থাকতে না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের সুরক্ষার জন্য, মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই কাজের সুফলটা মানুষ যাতে পেতে পারে সেটাই আমরা চাই।শত বাধার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে, শিক্ষার হার বেড়েছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা আমরা দিতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।