আন্তর্জাতিকস্বাস্থ্য

নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড পেলেন ডাঃ বাসুদেব

 

নাক কান গলা রোগে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি

Nepal Bangladesh Friendship Association এর আয়োজনে ২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশী চিকিৎসক হিসেবে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডাঃ বাসুদেব কুমার সাহা।

 

লাবণ্য চৌধুরী : নাক কান গলা রোগ চিকিৎসায় বিশেষ অবদান এবং রোগীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী এক স্বাস্থ্য বিষয়ক সাপ্তাহিক প্রামাণ্যচিত্র চিত্র Patient’s Follow up in House এর জন্য Nepal International Excellence Award 2024 পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের উদিয়মান নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও হেড নেক সার্জন ডাঃ বাসুদেব কুমার সাহা।

Nepal Bangladesh Friendship Association এর আয়োজনে ২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশী চিকিৎসক হিসেবে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডাঃ বাসুদেব কুমার সাহা।
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বর্তমানে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ,ঢাকায়, নাক কান গলা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার শান্তিনগরে অবস্থিত ম্যালিয়াস ইএনটি স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডে চীফ কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়মিত রোগী দেখছেন এবং অপারেশন করছেন।

নাক কান গলা রোগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে লিখালিখি করেন এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক ডকুমেন্টারি এবং ভিডিও তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন এই চিকিৎসক। সম্প্রতি ইএনটি রোগীদের নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তিনি আয়োজন করেছেন Patient’s Follow up in House নামে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান।

Patient’s Follow up in House এই আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ’ আসলে এটি আমার একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমি আমার পেশাগত জীবনে এসে দেখেছি রোগ ব্যাধির কাছে মানুষ কত অসহায়। একজন রোগী এক বুক কষ্ট এবং দুঃখ নিয়েই চিকিৎসকের কাছে আসে। এসময় তারা সত্যি কারের একটি সমাধান চায়। জানতে চায় তার কি হয়েছে, কেন হয়েছে, কিভাবে সারবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

রোগীর মনের কষ্ট গুলো সময় নিয়ে না শুনলে আর রোগীকে বুঝিয়ে না বললে রোগীরা মানসিক ভাবে সন্তুষ্ট হতে পারে না। আর তাইতো তারা এ ডাক্তার থেকে ও ডাক্তার, এ চেম্বার থেকে ও চেম্বারে ছুটতে থাকে। এতে করে ডাক্তারের প্রতি রোগীদের আস্থা কমতে থাকে। বিষয়টি আমি অনুধাবন করে আমার কাছে আসা রোগীদের আমি আন্তরিক ভাবে দেখার চেষ্টা করে থাকি। এরই মধ্য দিয়ে রোগীদের সাথে আমার একটি পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আর এই সম্পর্কের টানেই আমি ছুটে যাই রোগীদের বাড়িতে তাদের খোজ খবর নিতে, চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা কে কেমন আছেন জানতে। রোগীর বাড়িতে যেয়েই তাদের ফলো আপ করছি বলে এই আয়োজনটির নাম দিয়েছি Patient’s Follow up in House. সাধারণত নাক কান গলার জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী, যাদের বড় ধরনের অপারেশন করে থাকি, গরীব অসহায় রোগী যাদের ঢাকা পর্যন্ত আসার সক্ষমতা নেই তাদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে আমি এই সেবা দিয়ে থাকি।’

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button