দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকি দৈনিক প্রথম আলো
বিবৃতিতে দেশের ৬শতাধিক আলেম ওলামা উপরোক্ত দাবি জানিয়ে বলেন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা বাংলাদেশকে মৌলবাদী, জঙ্গি ও ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণের অপচেষ্টা করছে।
ডেস্ক রিপোর্ট : ইসলাম দেশ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা চেতনা ধর্মীয় বোধ-বিশ্বাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার বহুমুখী চক্রান্তে লিপ্ত ইসলামের আকিদা বিরোধী ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরুপ ইজরায়েল-ভারতীয় এজেন্ট দৈনিক প্রথম আলো অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন দেশের প্রতিনিধিত্বশীল ওলামা-মাশায়েখরা।
শনিবার ৭ ডিসেম্বর গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দেশের ৬শতাধিক আলেম ওলামা উপরোক্ত দাবি জানিয়ে বলেন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা বাংলাদেশকে মৌলবাদী, জঙ্গি ও ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণের অপচেষ্টা করছে। তারা ধর্মীয় শিক্ষা ও মুসলিম জনগোষ্ঠীকে মন্দভাবে চিত্রিত করতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আলেম-ওলামার অবদান ও কর্মসূচি বিষয়ক নিউজ কিলিং করার মিশন বাস্তবায়ন করছে। বিদেশি এনজিওগুলোর ইসলাম ও দেশ বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। মুসলিম জনসংখ্যা রোধ করার জন্য লাগাতার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।
অশ্লীলতার প্রচার ও প্রসারে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক কাঠামো ভাঙার নতুন নতুন ফর্মুলা আবিস্কার করে তা সুক্ষ্মভাবে বাস্তবায়নে কাজ করছে। মুসলিম বাংলার প্রচলিত ভাষার বিপরীতে কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দুয়ানি বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সমাজে পুরুষবিদ্বেষ উসকে দিয়ে পুরুষের অবদান ছোট করে দেখাচ্ছে। তারা ক্ষণে ক্ষণে বোল পাল্টিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে। এই প্রথম আলো পত্রিকাটি জন্মলগ্ন থেকে ভারতপন্থী পত্রিকা হিসেবে কাজ করছে। দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের সূতিকাগার মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে মরিয়া হয়ে বহুমুখী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
তাই ইসলাম দেশ ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর বোধ বিশ্বাসকে ধ্বংসের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ইসলামের আকিদা বিরোধী ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরুপ ইজরায়েল-ভারতীয় এজেন্ট দৈনিক প্রথম আলো নিষিদ্ধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কাছে দেশের আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার এ দাবি বাস্তবায়ন না করলে শীঘ্রই আলেম ওলামারা জনগনের ঈমান ইসলাম ও দেশ রক্ষায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বিবৃতিদাতা ওলামা মাশায়েখরা হলেন- আল্লামা সিদ্দিকুর রহমান ইসলামাবাদী, মুফতী রফিকুন্নবী কাসেমী, মুফতী আবদুল জলিল ফরাজী, আল্লামা আজিজুল্লাহ জালালাবাদী, মুফতী ওমর ফারুক খলিলী, হাফেজ মাওলানা নুরুল আমিন জাহানাবাদী, মুফতী আবদুল গাফ্ফার নদভী, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুর রহমান মাদানী, আল্লামা কামাল উদ্দীন যশোরী, হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ ভৈরবী, মুফতী মুহিউদ্দীন তরফদার, মাওলানা মামুনুর রশিদ কাসেমী, হাফেজ মাওলানা আলী হোসেন খাঁন, মুফতী মোঃ নুরুল ইসলাম, শাইখুল হাদীস মোহাম্মদ জালালুদ্দিন হবিগঞ্জি, মাওলানা আতাউর রহমান প্রধানিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আলী কাসেমী, মাওলানা আবদুল বারী নূর, মুফতী ওমর ফারুক চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা আলী হোসেন আকন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম হাওলাদার, মুফতী শাহাদাত হোসেন, আল্লামা জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতী আবদুল কুদ্দুস প্রধান, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন নাটোরী, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মুফতী নজরুল ইসলাম, মুফতী সেলিম উদ্দিন, মুফতী ইমরান হোসেন, মুফতী মাহফুজুর রহমান, মুফতী সফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আলিমুজ্জামান, মাওলানা আবদুল আলিম, মাওলানা ফজলুল হক, মাওলানা গাজী রফিকুল ইসলাম, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা ছালেহ আহাম্মদ, মাওলানা ইসমাইল কাশিমপুরী ও মুফতী রিয়াদুল করীম খান প্রমুখ।