বড় লুটেরাদের ছাড়ব না-নয়া দুদক চেয়ারম্যান
স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন বড় ধরনের লুটেরা দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। বুধবার সন্ধ্যায় দুদকে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ৩টার পরে আবদুল মোমেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এলে প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।এ সময় তাঁর সঙ্গে নতুন দুদক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী প্রবেশ করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যে বাংলাদেশে এসেছি, সেই বাংলাদেশের নবজন্ম ৫ আগস্টে হয়েছে। ৫ আগস্টের বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও এর পরবর্তী বাংলাদেশের প্রত্যাশা এক নয়। যে আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেটি বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ। ৫ আগস্টের পরবর্তী বাংলাদেশে আমরাও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার রেখে কাজ শুরু করেছি। আপনাদের ও আমাদের ভূমিকা একই।’ এ সময় তিনি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা কথা বলেন।
মোমেন বলেন, ‘দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করতে পারব, সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। আমরা যেন সাধ্যমতো কাজ করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। ন্যায়নিষ্ঠভাবে আমরা আইন মেনে কাজ করব।’
নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তিনটি রাজনৈতিক সরকার ও দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য রাজনৈতিক দলের মতো কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নেই। রাজনৈতিক চাওয়া নেই। এই সরকারের চাওয়া হচ্ছে জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এখানে রাজনৈতিক সরকার প্রভাবিত করবে না। আমরাও প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব।’
বিমানের এমডি থাকাকালে আপনার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল—এই প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। দুদকে এসেছে ২০০৯ সালে, বহু তদন্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রমাণিত হয়নি, দুদক ক্লিসচিট দিয়েছে। যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ন্যায়নিষ্ঠভাবে আপনারা দেখবেন।