৮ বিভাগের খবর

শহীদদের লাশ তোলা যাবেনা-বেঈমানি করলে ইউনূসকেও ছাড়ব না: সারজিস

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা যাবে না। 

 

 

 

 

রাজশাহী প্রতিনিধি : জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন,গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা যাবে না। রাজশাহী বিভাগের শহীদদের পরিবারকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের অভুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের হত্যা মামলার জন্য কারও লাশ উত্তোলন করা যাবে না। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচারিক যে মন্ত্রণালয় রয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলকে একটি কথা বলে দিতে চাই—যে ভাইয়ের জীবনের রক্তের ওপরে ওই চেয়ারে আপনারা বসে রয়েছেন, আপনারা কোনো দিন চার মাস পর তাদের লাশ উত্তোলন করতে পারেন না।’

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারের জন্য যদি ডেডবডি কবর থেকে তোলা না হয়, তাহলে এই চব্বিশের অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ আনতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছে—কেন তাদের লাশ উত্তোলন করতে হবে?’

এখনো আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সারজিস বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের চার মাস পেরিয়েছে। খুনি হাসিনার অন্যতম দোসর নাটোরের খুনি এমপি শিমুল আজও আমাদের সামনে রয়েছে। আজও পাবনার সাঈদ চেয়ারম্যান, এই বাংলাদেশে তার অস্তিত্ব রয়েছে।তিনি বলেন, ‘এই খুনিরা প্রকাশ্যে আমার ভাইদের পুড়িয়ে মেরেছে, গুলি করে হত্যা করেছে। যে শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকে আপনারা উপদেষ্টা, পুলিশ সুপার, আইজিপি, ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের রক্তের সাথে এই বেইমানি কীভাবে সম্ভব?’

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৪৬ জন শহীদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কয়েকজন সমন্বয়ক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button