জাতীয়

ফেসিস্ট হাসিনার মামলা থেকে মুক্ত হলেন দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক-কাল থেকে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা

ছাদ খোলা গাড়ীতে হাত নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান, এসময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক- প্রকাশক ও বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু হবে কাল থেকে-

 

বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে ফেসিস্ট হাসিনা সরকারের করা মামলা থেকে মুক্তি পেলেন দৈনিক ডেসটিনি ও ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। ১২ বছর পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন তাঁরা। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতে দুদকের করা মামলায় তাদেরসহ ১৯ জনকে ১২ বছর কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

সাজার অধিক মেয়াদ কারাভোগ করায় জেল কর্তৃপক্ষকে রফিকুল আমিন ও মুহাম্মদ হোসেনকে কারামুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৬ মাসের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান আসামী পক্ষের আইনজীবী।

কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন। দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সন্ধ্যায় মুক্তি পান তিনি। এসময় তাকে দেখতে কারাগার প্রাঙ্গণে ভীড় করে ডেসটিনি টু থাউজেন্ড লিমিটেডের হাজার হাজার বিনিয়োগকারী। কারাফটকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় তারা।

ছাদ খোলা গাড়ীতে হাত নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান, এসময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক- প্রকাশক ও বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু হবে। এর আগে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামীকে ১২ বছর করে সাজা দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

রায় উপলক্ষ্যে আদালত প্রাঙ্গনে সকাল থেকে ডেসটিনির বিনিয়োগকারীরা জড়ো হন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মামলায় অভিযুক্ত ডেসটিনি টু থাউজেন্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্য আসামিদের আদালত প্রাঙ্গনে আনা হয়। সাড়ে এগারোটায় দিকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন মামলার রায় পড়ে শুনান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-চার এর বিচারক রবিউল আলম।

সাজার অধিক কারাবাস করায় রফিকুল আমিন ও মুহাম্মদ হোসেনকে কারামুক্ত করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। যারা পলাতক রয়েছে তাদের আটকের পর থেকে রায় কার্যকর হবে। অর্থদন্ড কারা হয় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। যা ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশও দেন আদালত। আইনজীবী জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।

অনেকটা হতাশা নিয়ে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা আদালত প্রাঙ্গনে আসেন। মামলার রায়ে রফিকুল আমিনের মুক্তি পেতে আর কোন বাধা নেই এমন খবরে আনন্দিত হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা। ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন এর নামে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে দুদক। এই মামলার দীর্ঘ শুনানিতে আদালত ১৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button