শিক্ষা

কঠিন আন্দোলনে তিতুমীর শিক্ষার্থীরা- শিক্ষা উপদেষ্টাকে অগ্রাহ্য

তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এখন মানে এখনই ব্যারিকেড। সবাই তাহবান্দে আসুন’, ‘দাবি আদায়ের এক পথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সবাই আমতলী মুভ করেন, সড়ক ও রেল অবরোধ হবে’, ‘কাল নয় আজই ব্যারিকেড হবে, এখন মানে এখনই।

বিশেষ প্রতিনিধি : শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দাবি না মানায় তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে কঠিন আন্দোলনে যাচ্ছে তিতুমীর শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে দেয়ায় তিতুমিরের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কঠিন আন্দোলনে যাচ্ছে। আজ রবিবার সন্ধ্যায় ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কঠোরভাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।এর আগে দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই ।

এরপর শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এখন মানে এখনই ব্যারিকেড। সবাই তাহবান্দে আসুন’, ‘দাবি আদায়ের এক পথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সবাই আমতলী মুভ করেন, সড়ক ও রেল অবরোধ হবে’, ‘কাল নয় আজই ব্যারিকেড হবে, এখন মানে এখনই। সবাই দ্রুত চলে আসুন’।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, আপনাদের (সরকারের) খামখেয়ালি আমাদের রাজপথে আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করছে। আমাদের আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হওয়া জনদুর্ভোগের জন্য আপনারা দায়ী।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাসবর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

তিতুমীর কলেজকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা

তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রবিবার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। দাবির মুখে সরকার আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি এই মুহূর্তে রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত। কারণ এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো কলেজ।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায়। তারা জনদুর্ভোগ চায় না। জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাই।সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে চায় না। তাই ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। তবে দাবি বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়।’

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button