সিলেট সিটি করপোরেশনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ত্রান বিতরণ
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সিটি করপোরেশনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ত্রান বিতরণ সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। সিলেট মহানগর এলাকার বন্যা কবলিত এলাকায় রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি ও ক্ষতি গ্রস্ত ড্রেন কালভার্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে প্লাবিত এলাকার ময়লা আবর্জনা পরিচ্চন্ন করা, পচা দূর্গন্ধ এড়াতে জীবানুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়েছেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।
তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের এখনো খাবারের সংকট রয়েছে। খাদ্য সংকট নিরসনে সিসিকের ত্রান তৎপরতাও চলমান আছে। সরকারের উদ্দ্যোগের পাশাপাশি দূর্ভোগে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সেবা সংস্থা। বন্যার্তদের খাবার সংকট, স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সহ সার্বিক সহযোগিতায় গণস্বাস্থ্যসহ যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতহ্ঝতা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে ২০২২) দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের মধ্যে গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের শুকনো খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।সিসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড-এর মাছিমপুরে কাউন্সিল কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্র কর্তৃক শুকনো খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, গণস্বাস্থ্য সৃষ্টির ৫০ বছর হতে গণমানুষের মাঝে জনকল্যাণমূলক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। গত ২ বছরে করোনায় ভয়াবহতার সময় প্রায় ৪০ হাজার পরিবারকে ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে অসহায় দরিদ্রদের পাশে সাহায্য অব্যাহত রেখেছেন। গত ৩ দিন থেকে আগামী কালসহ ৬ দিন সব মিলিয়ে সিলেট মহানগর, সুনামগঞ্জে ২০ হাজার পরিবারের মাঝে বন রুটি,চকলেট ওয়েফার ও বাটার বনসহ এক লাখ পিস শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সিসিক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান. গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মানব সম্পদ বিভাগের পরিচালক আকলিমা খাতুন, গ্রামিন স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালক ডাঃ একেএম হালিমুর রেজা, শান্তিগন্জ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরের পরিচালক আবদুল আওয়াল, সমাজসেবক হাজী সোয়েল আহমেদ খান টুনু প্রমুখ।
বিতরণ করা খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বাটার বন, চকলেট ওয়েফার, পিস কেক ইত্যাদি। এ সময় মাছিমপুর এলাকায় ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন সিসিক মেয়র। এছাড়া সিলেট মহানগরের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনো খ্যাদ্য বিতরণ করা হবে।বিকেল ৪ টায় সিসিকের ২২ নং ওয়ার্ডে শাহাজালাল উপ শহরে এক হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। গণস্বাস্থের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমেদ সেলিম, ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর একান্ত সহকারীশফিউল আলম জুয়েলসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।