খেলাবিশেষ প্রতিবেদন

বিসিবির এফডিআরের ১২০ কোটি ধান্ধাবাজি ফারুকের

টাকার খেলায় নিজের আখের গোচাচ্ছে বিসিবি সভাপতি। ১২০ কোটি টাকা অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফেলেছেন।বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন এমন গোল্লায় গেছে যে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও জিততে পারছে না তারা। অথচ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বড় ধরণের আর্থিক অনিয়ম ঘটিয়ে ফেলেছেন

 

লাবণ্য চৌধুরী : দেশের মাটিতে টাইগাররা যখন হারছে তখন টাকার খেলায় নিজের আখের গোচাচ্ছে বিসিবি সভাপতি। ১২০ কোটি টাকা অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফেলেছেন।বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন এমন গোল্লায় গেছে যে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও জিততে পারছে না তারা। অথচ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বড় ধরণের আর্থিক অনিয়ম ঘটিয়ে ফেলেছেন। অভিযোগ উঠেছে ক্রিকেটের উন্নয়ন চিন্তা পাশ কাটিয়ে ৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালেই বিদেশ সফর করে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া ফারুক প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছেন। মাত্র তিন মাস সময়ে বিসিবির ফিক্স ডিপোজিট থেকে ১২০ কোটি টাকা দুই ব্যাংকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।বিসিবি সূত্র দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানায়, ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফারুক সর্বপ্রথম নজর দেন বিসিবির ১৩০০ কোটির এফডিআরে। স্ট্যান্ডিং কমিটি বণ্টনে কালক্ষেপণ করে নিজের নির্বাহী ক্ষমতা বলে নিজের আর্থিক সুবিধার ব্যাংকে এফডিআর ট্রান্সফার করে নিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সমস্যায় থাকা দুই ব্যাংকে অবিশ্বাস্য লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আগস্টে দায়িত্ব নিয়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই দুই মাসে বিসিবি সভাপতি একটি ব্যাংকে ট্রান্সফার করেন ৫২ কোটি টাকা। শুধু সেপ্টেম্বরেই ৩৩ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা হয় আলোচিত আরেকটি ব্যাংকে। যার ২৫ কোটি আবার আসে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে। পরের মাস অর্থাৎ অক্টোবরে পায় আরও ১৯ কোটি টাকার এফডিআর।

এসব কাজ করতে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের ধার ধারেননি ফারুক। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম পাঁচ মাসে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটি করেননি তিনি, সবগুলো কমিটি রাখেন নিজের অধীনে। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটি করে দিলেও গুরুত্বপূর্ণ সব কমিটির প্রধান তিনিই।বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের প্রধান ফারুক। অথচ বিপিএলে এখনো অনেক ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক বাকি পড়ে আছে।

তিনি কোন রকম ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া নিজের খাতিরের সূত্রে দল দেন রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি শফিকুর রহমানকে। শফিকুরের বিরুদ্ধে এখনো টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেন ক্রিকেটাররা।এদিকে গত ৮ মাসে বিদেশ সফর বাবদ বিসিবির কোষাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন ফারুক। কয়েকদিন আগে জিম্বাবুয়েতে আইসিসি সভায় যোগ দানের পর দুবাইতে ব্যক্তিগত কাজে কাটান দুই দিন। ব্যক্তিগত এই অবস্থানের খরচও মেটানো হয়েছে বিসিবির একাউন্ট থেকে।

 

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button