রাজনীতিলিড নিউজ

এনবিআরে গিল্টি কে-খেলছে কে? নামল দুদক!

 

এবার মুখোমুখি সরকার-এনবিআর সংস্কার পরিষদ-। ভুক্তভোগীরা বলছেন সরকার এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত না করে উল্টো অভিযোগকারী আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে দুদককে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে।

বিশেষ প্রতিনিধি : এনবিআরের অভ্যন্তরের ঘটনার স্বাধীন তদন্ত না করে এনবিআর চেয়ারম্যানকে রক্ষায় সরকার যেনো হার্ডলাইনে নামল। অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে এবার মুখোমুখি সরকার-এনবিআর সংস্কার পরিষদ-। ভুক্তভোগীরা বলছেন সরকার এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত না করে উল্টো অভিযোগকারী আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে দুদককে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে।

প্রেক্ষাপট এমন যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করতে মাঠে নেমে পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কিছু অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।

তিনি বলেন, রাজস্ব কর্মকর্তাদের এমন দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।আকতারুল ইসলাম বলেন, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়— করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

একইভাবে, বিগত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন অনেকে। এমন অভিযোগে এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, ঢাকা কর অঞ্চল ১৬ এর উপ- কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে রোববার (২৯ জুন) এনবিআরের সংকট নিরসনে এক বিবৃতি জানানো হয়, এনবিআর চলমান অচলাবস্থা নিরসনে অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে কঠোর বার্তা দিয়েছে সরকার।

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button