৮ বিভাগের খবরজাতীয়বিশেষ প্রতিবেদন

বদলে যাচ্ছে মহেষখালী নতুন শহরের জন্ম হবে মাতারবাড়ীতে : প্রধান উপদেষ্টা

সেখানে ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে বলে দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন বিডা সংশ্লিষ্টরা।

লাবণ্য চৌধুরী : বদলে যাচ্ছে মহেষখালী। গড়ে উঠতে যাচ্ছে ব্লু ইকোনোমি। সেখানে ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে বলে দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন বিডা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, গড়ে উঠবে এক নতুন শহরও। বুধবার এমন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায়

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।বৈঠক উপস্থিত ছিলেন, মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ, মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।

বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান। মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি। আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।’

এসময় গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার এবং মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।এক্ষেত্রে বিশ্বে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।’ এর পাশাপাশি, পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।বৈঠকে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।’

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button